রাশিদুল ইসলাম : [২] উইকেন্ড অস্ট্রেলিয়ান সাপ্তাহিক পত্রিকার রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকেই ভাইরাস নিয়ে জৈব মারণাস্ত্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন চীনের সামরিক বিজ্ঞানীরা। চীন সরকারের পূর্ণ সমর্থনেই এই মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছিল। সার্স-কভ-২ আসলে একপ্রকার জৈব অস্ত্র। যাকে মারণ ভাইরাসের চেহারা দিয়েছে চীনা বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসটির উৎস প্রকৃতি নয়। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা ‘ম্যান মেড ভাইরাস’।
[৩] অস্ট্রেলিয়ার সাপ্তাহিক পত্রিকাটি জানাচ্ছে, চীনের নথি ‘দ্য আনন্যাচারাল অরিজিন অব সার্স অ্যান্ড নিউ স্পিসিস অব ম্যান-মেড ভাইরাসেস অ্যাজ জেনেটিক বায়োওয়েপন’ অনুসারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্যই এই মারণাস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। এবার যদি বিশ্বযুদ্ধ হয় তাহলে জৈব মারণাস্ত্র ও মহাকাশ-যুদ্ধই হবে চীনের প্রধান লক্ষ্য। আর জৈব অস্ত্রের জন্যই ভাইরাস নিয়ে চীনের ল্যাবরেটরিতে গবেষণা শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর আগেই।
[৪] অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট (এএসপিআই)-এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর, সাইবার বিশেষজ্ঞ পিটার জেনিংসও বলেছেন, জৈব রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির জন্যে সামরিক বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের সংক্রামক কিছু প্রজাতিকে বেছে নেয়। মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে মহামারী তৈরি করতে পারে এমন ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে মারণাস্ত্র বানাচ্ছিল চীনা বিজ্ঞানীরা। রবার্ট আরও দাবি করেছেন, চীনের খোলা বাজার থেকেই যদি করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর দাবি করা হয়, তাহলে সেটাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পরিকল্পনা করেই সেটা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :