শওগাত আলী সাগর: ১.ফেরিতে, শপিং মলে হাজার হাজার মানুষের গা ঘেষাঘেষি করে থাকা ছবিগুলোর দিকে তাকাতেই বার বার ভারতের কুম্ভমেলার ছবিগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। কুম্ভ মেলায়ও মানুষ এভাবে ভীড় করেছিলো। করোনা ভারতের মানুষকে উৎসব থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি। করোনা বাংলাদেশের মানুষকেও উৎসব থেকে সরিয়ে রাখতে পারছে না।
২.ছবিগুলো দেখতে দেখতে বার বার মনে হয়েছে- করোনা নামের এক মহামারি যে সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে, লাখে লাখে লোক মারা গেছে, প্রতিবেশি ভারতে মানুষর মৃত্যু আর অক্সিজেনের জন্য হাহাকারও এই মানুষগুলোকে উদ্বিগ্ন করতে পারলো না কেন! বাংলাদেশের এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ কীভাবে করোনা মহামারিকে এইভাবে উপেক্ষা করার শক্তি পেলো!
৩.অস্বীকার করার উপায় নাই, দেশের মানুষকে করোনা নামের সংকটের ব্যাপারে সচেতন করা যায় নি। তদের এই অসচেতনতা যে কেবল তাদের জন্যই নয়, অন্যের জন্যও ভয়াবহ ক্ষতির সেই তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় নি। কেন যায়নি! সরকার কি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি! সরকারের বাইরে আর কেউ! রাজনৈতিক শক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তি,মিডিয়া! গত এক বছর ধরে আমরা সবাই মিলে তা হলে কী করেছি! করোনা যে বিপদজনক একটি বিষয়- এক বছরের বেশি সময় পরেও দেশের মানুষের কাছে- এই বার্তাটুকু আমরা দিতে পারিনি! আমরা তা হলে কি করি! কি করেছি! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :