শরীফ শাওন: [২] নিয়োগপ্রাপ্তরা সকলেই ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা, কর্মী এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান তো একই। অনার্স-মাস্টার্স পাস, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের তৃতীয় শ্রেণির চাকরি পাওয়া আমি খুবই যৌক্তিক মনে করি। তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে যাচ্ছিল, যারা ডিজার্ভ করে তারাই এই নিয়োগ পেয়েছেন।
[৩] শনিবার তদন্ত কমিটিকে তিনি জানান, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর ১২ (৫) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি এই নিয়োগ দিয়েছি। এখানে কেউ হয়তো বলার চেষ্টা করছে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছিল। কিন্তু আমি মনে করি, যেখানে সুস্পষ্ট একটা আইন আছে, ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেখানে নিষেধাজ্ঞা আসতে হলে তো ওই আইনটা (অ্যাক্ট) বাতিল হওয়া উচিত আগে।’
[৪] অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘নিয়োগ না টেকার কী কারণ আছে আমি বলতে পারব না। এটার সিদ্ধান্ত কারা নেবে আমি জানি না। অ্যাডহকে নিয়োগ তো অনেক হয়েছে। মাস্টাররোলে ৫৪৪ জনের চাকরি তো এখনো টিকে আছে। সুতরাং এটা না টেকার কী কারণ আছে ? আমি মনে করি এটা যৌক্তিক এবং আমি নিজ দায়িত্বে এটা দিয়েছি।’