কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শনিবার ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, প্রবাসীদের প্রণোদনা বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, আমি আশা করবো অর্থ মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি বাস্তবায়নে কাজ করবে। আর এটি বাস্তবায়িত হলে এটি নিশ্চয় প্রবাসীদের জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে।
[৩] প্রবাসী কর্মীদের বাধ্যতামূলক সঞ্চয় প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সামাজিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে প্রবাসী কর্মীদের বাধ্যতামূলক সঞ্চয় প্রকল্পের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। যেন এই প্রবাসী কর্মীদের একটা সঞ্চয় থাকে, সেজন্য এই প্রস্তাবনাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
[৪] মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে অনেক দেশের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এজন্য অনেক দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগে স্থগিত রয়েছে। এই সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে পারি। এজন্য আমাদের বিদেশগামী কর্মীদের ট্রেনিং করানো যেতে পারে- সেটি হোক অনলাইনে কিংবা অফলাইনে। তাহলে দেখা যাবে করোনার সংক্রমণ কমলে চাহিদা অনুযায়ী কর্মীদের আমরা দ্রুত বিভিন্ন দেশে কাজে লাগাতে পারবো।
[৫] বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে গেলে দেখা যায় বাংলাদেশি কর্মীরা ক্লিনার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ভারতীয় কিংবা পাশ্ববর্তী দেশের কর্মীরা সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে। এজন্য বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষ করে বিদেশে পাঠাতে হবে।
[৬] প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের বিদ্যমান ডাটা ব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যবহারকারীগণ এই অ্যাপটিকে একটি ঐচ্ছিক চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে বিএমইটি’র বিদ্যমান সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীগণ ঘরে বসেই নিজস্ব স্মার্টফোন থেকে বিএমইটি’র ডাটা ব্যাংকে অন্তর্ভুক্তির সুবিধা পাবেন।