চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় হেফাজতের তান্ডব সৃষ্টির ঘটনার পরিকল্পনাকারী বাঁশখালী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. জহিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নগরের টেরিবাজার এলাকা থেকে তাঁকে আটক করার পর পটিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
গতকাল শুক্রবার পটিয়া থানা পুলিশ আটককৃত জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে বাঁশখালীর আদালত ও বিভিন্ন স্থাপনা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন নাশকতার মামলার আসামী ছিলেন তিনি। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নে মাওলানা ইছহাক হুজুরের ছেলে।
জানতে চাইলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেছেন, পটিয়া থানায় হেফাজতের তান্ডব সৃষ্টির ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে। নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী ছিলেন জামায়াত নেতা মো. জহিরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তাঁর প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৬ মার্চ শুক্রবার বিকেল ৪টায় হেফাজতের কর্মীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এক পর্যায়ে থানার সিকিউরিটির রুমের গ্লাস ও লাইট ভাঙ্চুর করে। ঘটনার একদিন পর হরতালেও লাঠি সোটা নিয়ে সড়ক ও রেলপথ দখল করে এক পর্যায়ে গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় গত ৩১ মার্চ মঙ্গলবার রাতে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. বোরহান উদ্দিন বাদি হয়ে হেফাজতের ৭শ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ভাঙ্চুরের মামলা দায়ের করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :