জেরিন আহমেদ:[২] সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
[৩] পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষারত জামিলের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে কারণ ঈদ, একা ঢাকায় থাকতে পারব না। বাবা, মা, ভাইবোন রয়েছে। এক বছর পরে যাচ্ছি। আবেগ আর অনুভূতি আলাদা। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করে প্রায় ৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়েই বাড়ি যাচ্ছি।
[৪] জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ আপাতত কিছুটা কমলেও শঙ্কা এখনো কাটেনি। যে কোনো সময় আবারো সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। শুধু মাস্ক পরলেই করোনার সংক্রমণ ৮০ শতাংশ ঠেকানো সম্ভব। এছাড়া শারীরিক দূরত্ব ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিয়মিত এ তিনটি কাজ করতে পারলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
[৫] প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনা অত্যন্ত ছোঁয়াছে রোগ। যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট, শপিংমলগুলোতে মানুষের অবাধ চলাফেরায় তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
[৬] ঈদকে সামনে রেখে এভাবে শহর ছেড়ে গ্রামে যেতে থাকলে ৬৪ জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। গ্রামে সংক্রমণ কম ছিলো, সেখানেও ছড়িয়ে পরবে। গ্রামে মানুষ তো এমনিই মাস্ক পরে না, শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখে না।