রাজু চৌধুরী: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দশজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
বুধবার (৫ মে) ঘোষিত বিধিনিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়ন করে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধ করার লক্ষ্যে পরিচালিত ১০ অভিযানে ৬১ মামলায় ৩৬৭০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৪০০ মাস্ক বিতরণ করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা নগরীর টেরিবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ০৯ টি মামলা দায়ের করে ৭২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে সচেতনতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান নগরীর টেরিবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ১১ টি মামলা দায়ের করে ১০৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন । নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও তমাকুন্ডি লেন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ২৪ টি মামলা দায়ের করে মোট ১১১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ০৯ টি মামলা দায়ের করে ৩২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান শহরের রিয়াজুদ্দিন বাজার ও তামাকুন্ডি লেন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ০৮ টি মামলা দায়ের করে মোট ৪৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এছাড়াও মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী নগরীর চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন।
এছাড়াও লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে আরও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গালিব চৌধুরী ও জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।