আজহার আলী সরকার, নিজের দলকে বড় জয়ের দিকে এগিয়ে দিতে পারলেও নন্দীগ্রামে নিজ আসনে হেরে গেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।হেরে যাওয়ার পরও রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ।
ফলে তৃণমূলের টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেলেও প্রশ্ন উঠেছে দলের নেত্রী মমতা আবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন কি-না, তা- নিয়ে বেশ আলাপ -আলোচনা , জল্পনা-গুঞ্জন এখন তুঙ্গে। ভারতসহ আশপাশের দেশের টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের খবর বেশ ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, দল সরকার গঠন করলে এবং সেই দলের নির্বাচিত সদস্যরা যদি কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করে, সেক্ষেত্রে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাবেন।
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশটির কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে হলে তাকে ভারতের নাগরিক হতে হবে এবং বয়স হতে হবে ২৫ বা তার বেশি। তাকে রাজ্যের বিধানসভার সদস্য হতে হবে। আর বিধানসভার সদস্য না হয়েও কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে।
কেউ হেরে যাওয়ার পরও তার দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং দলের নির্বাচিত সদস্যরা যদি তাকে নেতা নির্বাচিত করেন, তাহলে তার মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে আইনি কিছু প্রক্রিয়া তাকে মানতে হবে।
ভোটে না জিতেও মুখ্যমন্ত্রী হলে তাকে ওই পদে বসার ১৮০ দিনের মধ্যে কোনো একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তা না পারলে ছেড়ে দিতে হবে পদ।