শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে ◈ আমি ইন্ডিয়া জোটেই আছি: মমতা  ◈ হিজবুল্লাহ’র হামলায় ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে: গ্যালান্ট ◈ কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২১, ০২:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০২ মে, ২০২১, ০২:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আদমদীঘিতে শ্রমিক সংকট, পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকেরা

এএফএম মমতাজুর রহমান: [২] শস্য ভাণ্ডার খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত সোনালী রঙ্গের সমারোহে ভরে উঠেছে। ফসলের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আশাতিত ফলনের প্রত্যাশায় চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। তবে লক ডাউনে গনপরিবহন বন্ধ থকায় ডোমার, চিলাহাটি, সোনাতলা, ভেরপাড়া বিভন্ন এলাকা থেকে যে শ্রমিক আসতো তারা না আসতে পারায় শেষ মুহূর্তে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে এলাকার কৃষকরা। তারা বলছেন, পাওনার চেয়ে বেশি দামেও মিলছে না শ্রমিক।

[৩] আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪’শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকরা।

[৪] উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো ক্ষেতের ধান কাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

[৫] এলাকাবাসী বলছে, স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের লোক এসে কাজ করত। এর ফলে শ্রমিক সংকট হতো না। কিন্তু এবার এই চিত্র একে বারেই আলাদা। বিশেষ করে লক ডাউনে যানবাহন চলাচল না করায় শ্রমিকরা আসতে পারছে না।

[৬] আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের গোরগ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপন্ন হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ মণ। আর বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান মোটাজাতের বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে পানি বাবদ-১৫০০ টাকা, সার ২ হাজার টাকা, কিটনাশক ৫০০ টাকা, ধান কাটা ৩ হাজার টাকা, ধান মাড়ায় করা ৪০০ টাকা মোট ৭ হাজার ৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি মন ধান ৮০০ টাকা দরে। এতে উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ার বিপাকে পড়েছে চাষিরা।

[৭] উপজেলার পৌঁওতা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এবার আট বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করেছি। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

[৮] সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু জানান, স্থানীয় যারা মাঠে শ্রমিকের কাজ করত তারা অনেকেই এখন চার্জার ভ্যান ক্রয় করে ভাড়ায় ব্যবহার করছে। এর ফলে এই এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

[৯] এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র অধিকারি বলেন, এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপন করেছে। তিনি আরোও প্রত্যাশা করেন, এবার আদমদীঘি উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

[১০] শ্রমিক সংকট বিষয়ে তিনি বলেন, এটা স্থানীয় চাহিদার ওপর নিভর করে। আর এক সঙ্গে ধান পাকার কারণে কৃষকদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে ধানের দাম আর একটু বেশি হলে কৃষকের ভালো হতো। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়