মোহাম্মদ হোসেন: [২] চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে অনাবাদি জমিতে কচু চাষীরা জমি তৈরি ও কচু বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। গরীবের সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত মুখিকচু চাষে কোনো ঝুঁকি না থাকায় বাণিজ্যিক ভাবে কচু চাষ অধিক লাভজনক। তাই অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে কৃষকেরা ঝুঁকিবিহীন কচু চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।
[৩] কৃষক জয়নাল ও আবু তাহের জানান, মাত্র ৫ গন্ডা জমিতে কচু চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে অল্প জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। তাই দৈনিক মজুর দিয়ে কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে জমি তৈরি করে কচু চাষ করেছি। চারা গজানোর পর গাছের গোড়ায় মাটি ও সার বিষ প্রয়োগ মিলিয়ে ৫ গন্ডা জমিতে প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ হয় ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ও যোগাযোগর সাথে বাজার দর ভালো হলে দামেও ভালো পাওয়া যায়। এতে ৬ মাসের কষ্টের হাসিটা হাসতে পারি।
[৪] স্থানীয় জাতের উৎপাদিত ‘লতিরাজ কচু’ (বড়-ছোট কচু-মুখী) অন্যান্য কচুর চেয়ে উন্নতমানের সুস্বাদু একটি সবজি। সারিবদ্ধভাবে আঁটি করে চারা বপনের পর এর থেকে চারা বড় হয়। চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে নিড়ানী দিতে হয়। নিড়ানী শেষে মাটি দেয়ার পর কিছু ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হয়। এ লতিরাজ কচুর জন্য কচুরীপানা কম্পোস্ট সার হিসেবে বেশি উপযোগী। ভালো চাহিদা থাকায় জমি থেকেই কচু আর লতি কিনে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
[৫] কৃষকেরা জানান, কচু গাছের বহুমুখি ব্যবহার হয়। প্রথমতো কচুর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, কচুর শক্ত শরীর ও কচুর লতি পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে এবং কচুর গাছ থেকে মূল বা চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়। তাই একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে কচুর আবাদ করে প্রতি মৌসুমে অনায়াসে একলাখ টাকা লাভ করতে পারেন কোনো ঝুঁকি ছাড়াই।
[৬] উপজেলায় সবজিচাষীদের কাছে কচু এখন অন্যতম অর্থকরী ফসল। চাষিরা জানান, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ লতিরাজ কচুর চাষ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো সম্প্রসারণ করা হবে। যা দেশের অর্থনীতিতে দারুণভাবে প্রভাব পড়বে। সম্পাদনা: হ্যাপি