শিমুল মাহমুদ: [২] বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল, তিনি ভালো আছেন। হাসপতালে ভর্তি অবস্থায় এখন তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সব পরীক্ষা শেষ হতে আরও দুই থেকে তিন দিন লাগতে পারে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
[৩] তিনি বলেন, চিকিৎসকেরাও তাকে নিয়মিত দেখেছেন। আজও ডাক্তাররা তাকে দেখেছেন এবং নতুন কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এরআগে শুক্রবার তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে।
[৪] ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দন্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। এরও কয়েক বছর থেকে তিনি আর্থাটাইটিজ, ডায়াবেটিক, চোখের সমস্যায় ভোগছেন।
[৫] ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া নিজে নিজে হাঁটতে পারেন না। ব্যক্তিগত দৈনন্দিন কাজেও তার সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে।
[৬] গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিতসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে চিকিতসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিলো কিন্তু ফলাফল পজেটিভ আসে।
[৭] এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
[৮] এদিকে বেগম জিয়ার বাসার ৮ কর্মচারী করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
[৯] তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা তারা নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। শুক্রবার রিপোর্ট প্রকাশ হলে জানা যায় সকলেই নেগিটিভ। এখন তারা সবাই সুস্থ আছেন।
[১০] চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার দুই সপ্তাহ পার হয়েছে। বর্তমানে তার করোনার কোনো উপসর্গ নেই। তাই নন-কোভিড জোনে তার চিকিৎসা চলছে।