রিয়াদ ইসলাম: [২] ঈশ্বরদীতে ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগে মারধর এবং মাথার চুল কেটে দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান মালিক জিসান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মধুর জন্য এই নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ঘটনাটি পুলিশ সুপার জানতে পেরে তাঁকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতনকারী জিসানকে শুক্রবার বিকেলে আটক করা হয়।
[৪] মধু বিক্রেতা এই দুই ভাই হলেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের আল-আমিন (২৪) ও তাঁর ছোট ভাই আলাল সরদার (১৮)।
[৫] দুই ভাই বেশ কিছুদিন ধরেই মধুর ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তাঁরা সাহাপুর গ্রামের ভিলেজ ফ্রেশ ফুড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খাঁটি মধু সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি অনুযায়ী কয়েকবার মধুও সরবরাহ করেন। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে মধু দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগে দুই ভাইকে আটক করেন। একপর্যায়ে তাঁরা দুই ভাইকে ধানের চাতালের মধ্যে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রেখে।
[৬] অভিযোগ উঠে, প্রতিষ্ঠানের মালিক জিসান হোসেনের নির্দেশেই সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দুই ভাইকে তীব্র রোদের মধ্যে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এরপর বেলা দুইটার দিকে জিসান হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই ভাইকে মারপিট করে মাথার কিছু চুলও কেটে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের লোকজন এসে দুই ভাইকে সেখান থেকে মুক্তি করেন।
[৭] এ ঘটনায় দুই সহোদরের বাবা আলম সরদার শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি