সমীরণ রায়: [২] খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সরকারের তৎপরতায় করোনা পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছেতাই সমালোচনা করছে। টেলিভিশনের সামনে যাচ্ছেতাই বলছে। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে আতঙ্কিত করা। এজন্য তারা এমন পথ অবলম্বন করেছে যে, খালেদা জিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মানুষ যেন আতঙ্কিত হয়ে যায়।
[৩] তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলছেন, লকডাউনের নামে এটা ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে। আমি তো বলি, লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন না; বিএনপিই ক্র্যাকডাউন হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার মধ্য দিয়ে।
[৪] বিএনপির উদ্দেশে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যতই স্যালাইন দেন, ওষুধ দেন, ক্ষমতায় থাকতে যত অন্যায়-অবিচার করেছেন, এই বিএনপিকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কাছে কোনদিন ভরসা পায় না। দিন শেষে বিএনপিসহ সারাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ভরসা তৈরি হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনার ওপর।
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী রেখেছেন। এমন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব আমরা দ্বিতীয়টি পাইনি। করোনা মোকাবিলায় আমরা দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধানদের দেখেছি আত্মসমর্পণ করতে, চোখের পানি ফেলতে, সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতেও দেখেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। চলতি বছরে ১৭-২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০ দিন প্রধানমন্ত্রীকে অন্যভাবে দেখেছি আমরা।
[৬] শুক্রবার দিনাজপুরের বিরলে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে করোনা ভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।