ডেস্ক রিপোর্ট: নওগাঁর আত্রাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মা জাহিদাকে (৬০) শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর গোপনে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলার সময় ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার দিঘা গ্রামের মৈত্রীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আটকৃতরা হলেন, জাহিদার ছেলে জাহিদুুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন। নিহত জাহিদা দিঘা গ্রামের মৃত হারান প্রামানিকের স্ত্রী।
আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেরে বাকবিতাণ্ডা শুরু হয়। এমতাবস্থায় মা জাহিদাকে শিলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তার ছেলে জাহিদুুল ইসলাম ও স্ত্রী রহিমা খাতুন। এতে ঘটনাস্থালেই মারা যান জাহিদা। এরপর কাউকে না জানিয়ে মা জাহিদা স্বাভাবিকভাবে মারা গেছে বলে প্রচার করে ছেলে জাহিদুল।
এ সময় নিজ আত্মীয়দের ছাড়া স্থানীয়দের মরদেহ দেখতেও দেননি। এদিকে জাহিদুল তার মাকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তবে প্রতিবেশীদের সন্দেহ দেখা দেয় জাহিদুলের চলাফেরা ও কথোপকথনে। এমতাবস্তায় প্রতিবেশীরা জোর করে জাহিদার মরদেহ দেখে মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশে সংবাদ দেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহিদার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে জাহিদুুল ইসলাম ও জাহিদুলের স্ত্রী রহিমা খাতুন শিলপাটা দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করেন। এঘটনায় ছেলে জাহিদুুল ও তার স্ত্রী রহিমাকে আটক করা হয়েছে। আর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :