শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কৃষক বাবার সন্তান শরিফুল ইসলামের টেস্টের স্বপ্ন পূরণ

মাহিন সরকার: [২] পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক বাবার ঘরে জন্ম শরিফুল ইসলামের। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় এরকম পরিবারের সন্তানদের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা একটু বাড়াবাড়িই। তারপরও স্বপ্নটা দেখেছিলেন দীর্ঘদেহী শরিফুল। আর তাতে বিস্ময়করভাবে বাবা দুলাল মিয়ার সায়ও পেয়ে যান । স্বপ্ন এবং তাতে বাবার সমর্থন; এই দুই মিলে শরিফুলের পথটা মসৃণ হতে তেমন সময় লাগেনি। সময় লাগেনি বুকপকেটে বিশ্বসেরার স্বপ্ন লালন করতেও।

[৩] স্বপ্নটার বয়স অবশ্য বেশি নয়। ২০১৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান যখন মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে একের পর এক উইকেট নিয়ে নিস্তব্ধ করে দিচ্ছিলেন প্রতিবেশি দেশের শতকোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে, শরিফুলের চোখ তখন ছিলো টেলিভিশনের পর্দায়। মোস্তাফিজের বোলিং-বীরত্ব তার রক্তে তোলে নাচন- ‘হতে হবে তার মতো পেসার’। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, টেলিভিশন নেই। মোস্তাফিজের সেই বোলিং-বীরত্ব শরিফুল দেখেছিলেন বাড়ি থেকে ২০ মিনিট দূরের মউমারি বাজারের এক দোকানে।

[৪] ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেননি। এই ব্যর্থতাই শরীফুলের জন্য শাপেবর হয়ে আসে। ‘লেখাপড়ায় দুর্বল’ ভাগ্নেকে দিনাজপুরের এক ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন শরিফুলের মামা। সেখানে তার ওপর চোখ পড়ে রাজশাহীর কোচ আলমগীর কবিরের। থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ শরিফুলকে কিছুদিন অনুশীলন করান তিনি। তাতেই নজর কাড়েন শরিফুল।

[৫] তার জায়গা হয় রাজশাহী ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখান থেকে সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক খালেদ মাসুদ ও জহুরুল ইসলামের কল্যাণে শরিফুল চলে আসেন ঢাকায়, খেলেন লিস্ট-এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং অব্যাহত রাখেন নজরকাড়া পারফরম্যান্স।

[৬] দৃষ্টি কাড়তে কাড়তে শরিফুল এখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান পেসার। দক্ষিণ আফ্রিকা যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য-ব্যর্থতার অনেকখানি নির্ভর করছে শরিফুলের ওপর। বাবা-মাকে গর্বিত করার স্বপ্ন বুকে নিয়েই বিশ্বকাপের বিমানে উঠেছিলেরন শরিফুল। এরপর বিশ্ব জয় করেই বীরের বেশে ফেরেন দেশে।

[৭] বল হাতে দারুণ পারফর্ম করে খুব দ্রুতই জায়গা করে নেন বড়দের দলেও। কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে তিনি এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার টেস্ট ফরম্যাটে।

[৮] টেস্ট ক্যাপ অমূল্য। ক্রিকেটারদের আজন্ম আরাধ্য স্বপ্ন হয়ে থাকে একটা টেস্ট ক্যাপ। শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে বৃহস্পতিবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো শরিফুলের। বাংলাদেশের ৯৭তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে যুব বিশ্বকাপজয়ী এ পেসারের অভিষেক হলো। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছ থেকে টেস্ট ক্যাপ পান শরিফুল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়