রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান ও বাংলাদেশের সীমান্ত পথে প্রতিদিন কিছু না কিছু লোক যাতায়াত করায় এসব দেশেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। সীমান্তপথ বন্ধ ও বিধি নিষেধ আরোপ করেও তা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। সিএনএন
[৩] ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর নেপালে দিনে সহস্রাধিক কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে যা গত ফেব্রুয়ারিতে ৫০ থেকে ১শ’র মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
[৪] নেপালের সংক্রমণ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কৃষ্ণা প্রসাদ পওডেল বলেন ভারত থেকে নেপালিরা ফিরে আসায় এ সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া বাজার খোলা থাকায়, জনাকীর্ণ জনসমাগম ও উৎসবগুলোতে কেউ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে না। বৃহস্পতিবার ১৫ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
[৫] কাঠমান্ডুর সুকরারাজ ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশন ডিজিজ হাসপাতালের ডা. শের বাহাদুর পুন বলেন হাসপাতালগুলো কোভিড রোগীতে পরিপূর্ণ এবং অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে।
[৬] বাংলাদেশে কোভিড সংক্রমণ পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। কঠোর লকডাউন ও বিমান চলাচল বন্ধ করার পর আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। দুই সপ্তাহের জন্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ হলেও বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। আখাউড়া ও বেনাপোল সীমান্তে আটকে পড়া উভয় দেশের নাগরিকরা ফিরছেন দেশে।
[৭] পাকিস্তানে অক্সিজেনের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। গত বুধবার দেশটিতে সর্বোচ্চ মারা গেছে ২০১ জন। আক্রান্ত ৮৮ হাজার। ভারত ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। বাইরে খাওয়া ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
[৮] ভুটানে তুলনামূলকভাবে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং প্রতিদিন দেশটি ৪০টন অক্সিজেন রফতানি করছে ভারতে।