শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০২:০২ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের পণ্যবাহী শ্রমিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় করোনার ট্রিপল ভেরিয়্যান্ট সংক্রমণের ঝুঁকিতে রংপুর

ডেস্ক নিউজ: রংপুর বিভাগের ৪টি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন দেশে ঢুকছে সহস্রাধিক ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। তবে, করোনা থেকে সুরক্ষায় ট্রাকের চালক ও সহকারীদের জন্য নেই যথাযথ ব্যবস্থা। তারা দেশে ঢুকে চলাফেরা করছেন অবাধে, মিশছেন স্থানীয়দের সঙ্গেও।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে, ভারতে ছড়িয়ে পড়া করোনার ট্রিপল ভেরিয়্যান্ট ছড়িয়ে পড়বে দেশে।

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩শ' ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। তবে করোনারোধে ট্রাকের চালক-সহকারীদের জন্য নেই কার্যকর কোন ব্যবস্থা।

শ্রমিকরা দেশে ঢুকে চলাফেরা করছেন খেয়াল খুশি মতো। মিশছেন বাংলাদেশি চালক ও স্থানীয়দের সঙ্গে।

যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি-স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করছেন তারা। বাংলাবান্ধা বন্দরের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি এবং এবং কোভিড-১৯ এর যে প্রটোকল এগুলা মেনে চলার চেষ্টা করছি। আমরা প্রতিদিন তিন চারবার করে মাইকিং করছি সচেতন সৃষ্টি করা জন্য। যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে মাস্ক বিতরণ করছি।

একই চিত্র লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও কুড়িগ্রামের সোনাহাট ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা।

সীমিত জনবল নিয়ে এত মানুষের করোনা পরীক্ষা দুঃসাধ্য বলছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাছান। তিনি বলেন, চার থেকে ছয়শ মানুষ প্রতিদিন ভারত থেকে আসছে। সীমিত জনবল দিয়ে এতো সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ভারতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় সেদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার ট্রিপল ভেরিয়্যান্ট সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর। এখনই সীমান্তগুলোতে কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা না গেলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

রংপুর বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাক্তার মোহাম্মদ আহাদ আলী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের যেসব কর্মীরা সেখানে কাজ করছে তারা খুব সচেতনভাবেই কাজ করছে। এছাড়া বন্দরের যারা লোক পারাপারে কাজ করে তাদেরকেও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। কেউ যেন কোনভাবেই না আসতে পারে।

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা স্থানীয়দের। সূত্র: ডিবিসি টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়