শিমুল মাহমুদ: [২] মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃত্যু একটু বেড়ে গেলেও এখন কমতে শুরু করেছে। সরকার সংক্রমণ রোধে ‘লকডাউন’ দিয়েছে। ‘লকডাউনে’ মোটামুটি কাজ হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি আমাদের মেনে চলতে হবে। নয়তো এখন আক্রান্ত ছয়-সাত হাজারে আছে, তখন ২১ হাজার চলে যাবে। সেই সময় হাসপাতালেও জায়গা হবে না।
[৩] বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি রোগীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ২১ হাজারে পৌঁছে তাহলে আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারবো না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে তরল অক্সিজেন ব্যবহারকারী শিল্পগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যেন সংকটের সময় তাদের কাছ থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা যায়। এর বাইরে আমরা ছোট অক্সিজেন প্ল্যান্ট আমদানির পরিকল্পনা করছি। বর্তমানে যে সক্ষমতা আছে তা নিয়ে আমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।
[৪] টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালিক বলেন, তিন কোটি টিকার জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা সঠিক সময়ে টিকা পাচ্ছি না। এজন্য আমরা যোগাযোগ করছি। কিছু দিনের মধ্যে হয়ত আসবে। এখনই তারিখ বলতে পারছি না। টিকা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে যাবে।
[৫] তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বব্যাপী সংকট রয়েছে। সিনোফার্ম পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে পাঠাতে চেয়েছে, এর জন্য আমরা সব ধরনের নথি সরবরাহ করেছি। এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা আছি।