জাহিদুল কবির: [২] শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলের মধ্যে পালিয়ে যান তারা। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
[৩] এতে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
[৪] হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে দেশে আসেন অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি। সেখানে নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিন সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তারা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
[৫] তবে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দাবি, মাত্র দুজন রোগী পালিয়েছেন। হাসপাতালে দেওয়া নাম ঠিকানা ঠিক থাকলে তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব।
[৬] এসময় তিনি বলেন, ভারত থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে আসা রোগীকে হাসপাতালে পুলিশ দিয়ে যাবে। একইসঙ্গে তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হাসপাতালে জমা করবে। কিন্তু এ দশজনের ক্ষেত্রে তার কোনোটাই করা হয়নি। কোনো রোগী যাতে পালাতে না পারে সেজন্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার বিষয়ে আমি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
[৭] হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা একজন সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি কোনো পরিবারে থাকে তার মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবার এবং আশপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারেন। কেননা করোনার ভারতীয় ধরন উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে পালিয়ে যাওয়া রোগীরা যদি ভারতীয় ধরনের বাহক হন তাহলে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
[৮] যোগাযোগ করা হলে যশোররে সিভিলি র্সাজন ডা. শেখ আবু শাহীন বলনে, 'রোগী পালানোর কথা শুনে আমি আজ (রোববার) সকালে যশোর জেনরলে হাসপাতালে গয়িছেলিাম। হাসপাতালরে তত্ত্বাবধায়করে সাথে কথা হয়ছে। যে দশজন রোগী পালয়িছে, তাদরে নাম ঠিকানা সঠিক থাকলে তাদরে খুঁজে বের করা সম্ভব। বিষয়টি গুরুত্বর সাথে দেখা হচ্ছে।