শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৪ সকাল
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ পেল আরো ছয় ‘নিজস্ব পণ্য’

নিউজ ডেস্ক: জামদানি, ইলিশ ও ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পেল ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি। ফলে এগুলোও বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেল।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে সব দাপ্তরিক কাজ চূড়ান্ত হলেও শিল্প মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। আগামী মাসে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

এ আবহে আজ ২৬ এপ্রিল পালিত হচ্ছে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে অনলাইনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মেধাস্বত্ব ও এসএমই : পরিকল্পনা গ্রহণ ও বিপণন’।

শিল্পসচিব কে এম আলী আজম গতকাল রবিবার বলেন, ২০১৬ সালে দেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি, ২০১৭ সালে ইলিশ ও ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম। অনেক লম্বা দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কালিজিরা, কাটারিভোগ ও বিজয়পুরের সাদা মাটি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সব দাপ্তরিক কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষে এখনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আগামী মাসের মধ্যে ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (সংক্ষেপে জিআই) হচ্ছে মেধাসম্পদের অন্যতম শাখা। কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ওই দেশের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির যদি কোনো একটি অনন্য গুণ-মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের জিআই হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই গুণ-মানসম্পন্ন সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও সাধারণত উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধিশালী হলেও দীর্ঘ সময় ধরে জিআই আইন না থাকায় এ দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষার সুযোগ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ এবং ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। এর পরই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য নিবন্ধনের পথ সুগম হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) দেশের প্রথম ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে জামদানিকে জিআই নিবন্ধন দিয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে ইলিশ ও ২০১৯ সালে ক্ষীরশাপাতি আম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এবার পেল আরো ছয় পণ্য। - কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়