শরীফ শাওন: [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মতে, নিমতলী ও চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়িদেরবিচারের আওতায় আনা সম্ভব না হওয়ায় আরমানিটোলার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
[৩] রোববার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনা ঘটলেই অনেকগুলো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, আরমানিটোলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। নিমতলীর ট্যাজেডির ১১ বছরেও রাসায়নিক গুদাম সরানো বা স্থায়ী রাসায়নিক পল্লী প্রস্তুত হয়নি।
[৪] লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কীভাবে ব্যবসা চলছে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, নিমতলী, চুড়িহাট্টার মতো ভয়াবহ ঘটনার পরও রাসায়নিকের গুদাম স্থানান্তরের জায়গাই পরিবর্তন হয়েছে চারবার, যা দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর পরিকল্পনাহীনতা ও দায়িত্বহীনতার চূড়ান্ত উদাহরণ।
[৫] ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার সুযোগে কতিপয় মহল অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার একটি অসাধু ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
[৬] সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রতিপালন না করার পাশাপাশি আদালত অবমাননাও করেছে। মামলাগুলোও ঝুলে আছে পুলিশ প্রতিবেদনের অপেক্ষায়। দ্রুত অগ্নি নির্বাপণের জন্য পুরান ঢাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি সাধিত হয়নি। তাই নিমতলীর তদন্ত কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
আপনার মতামত লিখুন :