শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৪৪ বিকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৪৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টেকনিশিয়ান-কেমিস্ট ছাড়াই সফট ড্রিংক তৈরি: পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর মাতুয়াইলের শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় টেকনিশিয়ান-কেমিস্ট ছাড়াই সফট ড্রিংক তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

[৩] রোববার সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে র‌্যাব-১০ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

[৪] অভিযান শেষে পলাশ কুমার বসু বলেন, মাতুয়াইলের খান বাড়ি চৌরাস্তা, পূর্ব গোবিন্দপুরে শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড অবস্থিত। সেখানে লোকচক্ষুর আড়ালে ভেজাল ট্যাং তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ সফট ড্রিংক বিক্রি করা হতো। কমপক্ষে একশর বেশি লিক্যুইড খাদ্যপণ্য তৈরি করতো প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কোনো লাইসেন্স নেই। আবার অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য আমদানি করা হয়েছে কাঁচামাল। সেই কাঁচামাল লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে মজুদ করা হয়েছে টয়লেটে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ল্যাব, কেমিস্ট এবং টেকনিশিয়ান নেই।

[৫] এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কিন্তু আবারও একই ভেজাল ব্যবসায় নেমেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিপুল পরিমাণ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রং, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ গ্লুকোজ, মেয়াদোত্তীর্ণ লেভেলবিহীন ফ্লেভার জব্দ করা হয়েছে। টয়লেটে খাদ্যদ্রব্য মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী অপরাধ। আবার তৈরি করা অনেক পণ্যের অনুমোদন নেই।

[৬] পলাশ কুমার বসু বলেন, জেল-জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির মালিকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে যে, এক মাসের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সব বৈধতা অর্জন করতে হবে। ল্যাব, টেকনিশিয়ান, কেমিস্ট নিয়োগ করতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে তা না করেন তাহলে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হবে। নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়