শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব মোর্শেদ: দেশে ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস এলে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকবে না

মাহবুব মোর্শেদ: ২৮ তারিখের পর লকডাউন হয়তো উঠে যাবে। তার আগে ২৫ তারিখে দোকানপাট খুলবে। ২৫ থেকে ২৮ এই সময়ে গাড়িতে করে কেনাকাটা করতে যাবে মানুষেরা। তারপর গণপরিবহন খুলবে। আন্তঃজেলা যোগাযোগ চালু হবে। মার্কেটে মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে পড়বে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। ঈদ করার জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবে হাজার হাজার মানুষ। অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। সেটা হয়তো দরকারও।

কিন্তু আজকের ভারতের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আমাদের একটু সাবধান হওয়া দরকার। এরইমধ্যে খবর এসেছে আমাদের দেশেও সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। ভ্যাকসিনের সংগ্রহ শেষের দিকে। হাসপাতলে জায়গা নেই। আই সি ইউ খালি নেই। আমাদের অল্প সংক্রমণেই এই অবস্থা। ভারতের মতো পরিস্থিতি হলে সেটা সামাল দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের থেকে অনেক ভালো। তবু তাদের নাজুক একটা পরিস্থিতি ফেস করতে হচ্ছে। আমাদের দেশে ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস এলে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকবে না। এ অবস্থায় জীবন ও জীবিকা দুটো চালানোর জন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের লোকদের বাঁচাতে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত অমানবিক হলেও বন্ধ করে দিতে হবে। অফিস-আদালত অর্ধেক লোক দিয়ে চালাতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনটেন করা যায়। সরকারিভাবে নির্দেশনা দিতে হবে যেন অফিসগুলোতে কর্মীদের রোটেশন অনুযায়ী একদিন পরপর অফিস করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। বড় মার্কেটগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষের বেশি ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্ক হতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। আন্তঃজেলা যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অর্ধেক যাত্রী নীতি বহাল রাখতে হবে। ভারতের মতো জরুরি প্রয়োজন হলে অক্সিজেন ও আই সি ইউ ব্যবস্থাপনা কী হবে তা নিয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। লকডাউন তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের সামনে হয়তো আর কোনো অপশন নেই। কিন্তু এরপর যদি সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে তবে তার থেকে ভয়াবহ আর কিছছু হবে না। এখন দায়িত্বটা নাগরিকদের ওপর বেশি পড়বে। সতর্ক না থাকলে বড় বিপদ আসবেই। ফেসবুক থেকে শাহিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়