শিরোনাম
◈ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর চিঠি প্রস্তুত হচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পরিবর্তন করা হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) হেল্পলাইন নম্বর ◈ স্পর্শকাতর এলাকায় থাকবে বডি ক্যামেরা, কমবে সংখ্যা : অর্থ উপদেষ্টা ◈ ক্লাউডফ্লেয়ার বিভ্রাটে বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইট অচল: এক্স (X), স্পটিফাই সহ হাজারো সাইটে সমস্যা! ◈ এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ প্রথম ভোট দেবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ 'হাসিনার রায়ের দিন কেন বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষর হল', প্রশ্ন আব্দুন নূর তুষারের (ভিডিও) ◈ প্রথম খেল‌তে নে‌মেই তা‌মি‌মের সেঞ্চু‌রি, ঢাকা - রাজশাহী ম‌্যাচ ড্র  ◈ রায়ের দিন কলকাতায় আ'লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মিটিং (ভিডিও) ◈ ৫৩ ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল ◈ হাসিনাকে যে কারণে ফেরত দেবে না ভারত

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব মোর্শেদ: দেশে ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস এলে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকবে না

মাহবুব মোর্শেদ: ২৮ তারিখের পর লকডাউন হয়তো উঠে যাবে। তার আগে ২৫ তারিখে দোকানপাট খুলবে। ২৫ থেকে ২৮ এই সময়ে গাড়িতে করে কেনাকাটা করতে যাবে মানুষেরা। তারপর গণপরিবহন খুলবে। আন্তঃজেলা যোগাযোগ চালু হবে। মার্কেটে মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে পড়বে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। ঈদ করার জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবে হাজার হাজার মানুষ। অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। সেটা হয়তো দরকারও।

কিন্তু আজকের ভারতের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আমাদের একটু সাবধান হওয়া দরকার। এরইমধ্যে খবর এসেছে আমাদের দেশেও সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে গেছে। ভ্যাকসিনের সংগ্রহ শেষের দিকে। হাসপাতলে জায়গা নেই। আই সি ইউ খালি নেই। আমাদের অল্প সংক্রমণেই এই অবস্থা। ভারতের মতো পরিস্থিতি হলে সেটা সামাল দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের থেকে অনেক ভালো। তবু তাদের নাজুক একটা পরিস্থিতি ফেস করতে হচ্ছে। আমাদের দেশে ডাবল মিউট্যান্ট ভাইরাস এলে তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের থাকবে না। এ অবস্থায় জীবন ও জীবিকা দুটো চালানোর জন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের লোকদের বাঁচাতে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত অমানবিক হলেও বন্ধ করে দিতে হবে। অফিস-আদালত অর্ধেক লোক দিয়ে চালাতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনটেন করা যায়। সরকারিভাবে নির্দেশনা দিতে হবে যেন অফিসগুলোতে কর্মীদের রোটেশন অনুযায়ী একদিন পরপর অফিস করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। বড় মার্কেটগুলোতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষের বেশি ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

এক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্ক হতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। আন্তঃজেলা যোগাযোগের ক্ষেত্রেও অর্ধেক যাত্রী নীতি বহাল রাখতে হবে। ভারতের মতো জরুরি প্রয়োজন হলে অক্সিজেন ও আই সি ইউ ব্যবস্থাপনা কী হবে তা নিয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। লকডাউন তুলে নেওয়া ছাড়া আমাদের সামনে হয়তো আর কোনো অপশন নেই। কিন্তু এরপর যদি সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে তবে তার থেকে ভয়াবহ আর কিছছু হবে না। এখন দায়িত্বটা নাগরিকদের ওপর বেশি পড়বে। সতর্ক না থাকলে বড় বিপদ আসবেই। ফেসবুক থেকে শাহিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়