শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে হাসপাতালে নেওয়া সেই মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন

বাশার নূরু:[২] পিঠে সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই যুবকের মা রেহেনা পারভীন (৫০) সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

[৩] শুক্রবার সকালে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে তিনি ছাড়পত্র পান। দুপুর ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে ছেলে জিয়াউল হাসানের সঙ্গে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।

[৪] বাড়ি যাওয়ার আগে রেহেনা পারভীন ছেলে জিয়াউল হাসান ও রাকিব হাসান হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এ সময় রেহেনা পারভীন বলেন, আমার অসুস্থতার সময় ছেলেরা যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল, তা আমার কাছে বেঁচে ফেরার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমার সাহস ও মনোবল শক্ত করেছিল। করোনাকে জয় করার জন্য পরিবারের সবার সহযোগিতা সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। সবাই যেন এটাই করেন।

[৫] রেহেনা পারভীন ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নলছিটি বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১০ দিন ধরে বাড়িতে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। ১০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ওই দিনই তার দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। কষ্ট কমাতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে আনেন ছেলে জিয়াউল হাসান। মায়ের মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন। তবু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এ অবস্থায় মাকে বরিশালে নিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোনো গাড়ির খোঁজে নামেন। যানবাহন না পাওয়ায় নিজের মোটরসাইকেলে মাকে বরিশালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জিয়াউল। গামছা দিয়ে পিঠের সঙ্গে শক্ত করে অক্সিজেন সিলিন্ডারটি বাঁধেন। এরপর মাকে পেছনে বসিয়ে তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন। এভাবে ১৮ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পৌঁছান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পাশে আরেকটি মোটরসাইকেলে করে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছোট ভাই রাকিব। তাদের ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

[৬] রেহেনা পারভীন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পুনরায় নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে। ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান মায়ের সঙ্গেই ছিলেন এত দিন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়