রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার ৮৯ জনে পৌঁছানোর পর দিনে ১ হাজার ৭৬১ জনের মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৩০ জনের। সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৮ হাজার ৫৮২ জন। বর্তমানে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৯৭৭ জন সক্রিয় করোনা রোগী হাসপাতাল অথবা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
[৩] ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত দুই সপ্তাহ ধরে দিনে ২০ ঘন্টা ধরে গ্রেভডিগারসে মরদেহ দাহ করায় এর চিমনি ও লোহার ফ্রেম গলে গেছে। তারপরও করোনায় মৃত লাশের স্তুুপ কমছে না। ব্রিটেনে ভারতীয় স্ট্রেইনের শতাধিক রোগির খোঁজ মেলার পর দেশটি থেকে ভারতে যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত মার্চ থেকে ভারতে থেকে দিনে ৯শ মানুষ ব্রিটেনে আসছিল।
[৪] বি.ওয়ান. সিক্সওয়ানসেভেন নামে এই ভ্যারিয়েন্ট অন্য যে কোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ভয়ানক। তরুণদের আক্রান্ত করছে বেশি। আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশের বয়স ৪৫’এর নীচে। ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে যা গত বছর দেখা যায়নি।
[৫] দিল্লিতে এক সপ্তাহের বেশি লকডাউন চলছে এবং এ শহরের ২ কোটি ৯০ লাখ বাসিন্দা জন্যে হাসপাতালে দেড়শ আসন রয়েছে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’এর জন্যে।
[৬] গুজরাট, সুরাট, রাজকোট, জামনগর ও আহমেদাবাদের সেমিট্রিগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি মরদেহ আসছে। ২৪ ঘন্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কাজ করছে মরদেহ গ্রহণ ও অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার জন্যে। স্বজনরা টোকেন নেওয়ার পর অন্তত ১২ ঘন্টা অপেক্ষা করছেন দাহতে অংশ নেওয়ার জন্যে।
[৭] মরদেহ দাহ খরচ ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার রুপিতে।
https://videos.dailymail.co.uk/video/mol/2021/04/20/3175632994443019037/960x540_MP4_3175632994443019037.mp4
আপনার মতামত লিখুন :