শিরোনাম
◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৪ সকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মো. রফিউজ্জামান সিফাত: চিকিৎসক ও পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট : কে কার আগে!

মো. রফিউজ্জামান সিফাত: বেশ কয়েকবার ভিডিও দেখেও সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না, কার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা উচিত। অদ্ভুত সিচুয়েশন, এমনটা আগে হয়নি। করোনা সংকটে চিকিৎসাকর্মীদের সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিতে হবে। একইসঙ্গে এটা মনে রাখতে হবে পোশাক কিংবা মুখের কথায় কারও পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয়। সাবরিনার পোশাক দেখেই যদি তাকে জাজ করা হতো, তবে আজ আরও কয়েক লাখ ভুয়া করোনা রিপোর্ট নিয়ে দেশ আরও ভয়াবহ করোনা সংকটের মুখোমুখি হতো।

আইডি কার্ড একজন মানুষের পরিচয়। প্রশাসনের কেউ পরিচয় দেখতে চাইলে দেশের যেকোনো নাগরিক তা দেখাতে বাধ্য। এখানে দ্বিতীয় কোনো কিন্তু অথবার দেখানোর অবকাশ নেই। এইটাই সভ্য দেশের নিয়ম। হয়তো ভদ্রমহিলা কোনো ইমার্জেন্সি ডিউটিতে ছিলেন, হয়তো তিনি পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যায় ছিলেন, হয়তো তার তাড়া ছিলো, হয়তো পুলিশ অথবা ম্যাজিস্ট্রেট আরও টেকনিক্যালি পুরো পরিস্থিতি ডিল করতে পারতেন, কিন্তু অদ্ভুত লেগেছে বারবার কার্ড দেখতে চাওয়ার বিপরীতে তিনি গালাগাল করে যাচ্ছেন। তুই-তুকারি করছেন। নিজের প্রফেশনাল কমিউনিটির হুমকি দিচ্ছেন, ফোনে বড়াই করছেন। হুকুম দিচ্ছেন। ক্যামেরার সামনেই পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে হারামজাদা বলছেন। তারচেয়েও অদ্ভুত বিষয় পুলিশের লোকজনও ঘাবড়ে ফোন ধরতে চাইছেন না। (যদি চাকরি চলে যায়। লক্ষ্য করলে দেখবেন তর্কে লিপ্ত উভয় প্রফেশনই দেশের বিবেচনায় সবচাইতে হাই ডিমান্ডেবল। তারা উভয়ই উচ্চ শিক্ষিত। সমাজের চোখে  এলিট শ্রেণি। বিসিএস ক্যাডার। উচ্চশিক্ষিত লোকজন রাস্তায় উচ্চবংশীয় ক্লাসটাই দেখালো। পুরো পরিস্থিতিতে একটা বিষয় স্পষ্ট, এখানে প্রত্যেকে নিজের হ্যাডম দেখাতে ব্যস্ত। তুই আমারে চিনস? টাইপ পাড়া মাস্তানি। আর এটা কোনো সভ্য দেশের কালচার না।

এদেশে জোর যার মুল্লুক তার। নিয়ম কানুনের বালাই নেই। ক্ষমতার হিংস্রতা। এস আলমের ক্ষমতা আছে, গুলি করে পাঁচ শ্রমিক মেরে ফেলছে। শিকদার গ্রুপের ক্ষমতা আছে, কয়েকশ কোটি ব্যাংক লোন নিয়ে লাপাত্তা, অর্থাৎ যার ক্ষমতা আছে, সেই একমাত্র এদেশে সুবিধা ভোগ করবে। যার ক্ষমতা নেই তার কপালে বাঙ্গিও জুটবে না! তবে ভিডিও দেখে সবচেয়ে যেই প্রশ্নটা মনে আঘাত করছে যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয় (হয়তো মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স কম ছিলো, হয়তো পারিবারিক কারণে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি) তাদের সন্তানদের কী এদেশে বেঁচে থাকার অধিকার নেই? তারা কার হ্যাডমে চলবে? আঠারো কোটি জনতার এতো কোটি কোটি মুক্তিযোদ্ধা পিতা কোথায় খুঁজে পাওয়া যায়? হায় রে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর। হায়রে আমার দুঃখিনী জন্মভূমি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়