সোহেল রানা ডালিম: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। (১৯-এপ্রিল) সোমবার রাতে শহরের কেদারগঞ্জ এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের কেদারগঞ্জ নতুন বাজার পাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেল জুবায়ের হোসেন জিম (১৮), একই এলাকার মনোর ছেলে আপন হোসেন (১৭), ইকরাম হোসেনের ছেলে তুষার (১৮), জীবননগর বাস স্ট্যান্ড পাড়ার মৃত আবু শেখ এর ছেলে শিমরান হোসেন (১৭), বুজরুজগড়গড়ি মাদ্রাসা পাড়ার বাদল এর ছেলে শাওন (১৮) ও সুমুড়দিয়া নিলারমোড় এলাকার মিরাজ (১৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মাস পূর্বে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয় হয় কেদারগঞ্জ নতুন বাজার পাড়ার জুবায়ের হোসেন জিম এর। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তলে জুবায়ের। পরে জুবায়ের তার ১৩/১৪ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে পুনরাই ওই অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিওসহ স্টিল ছবি ধারণ করে তাদের মোবাইল ফোনে। এ ঘটনার পর থেকেই ওই স্কুল ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে তারা। প্রথম দিকে কয়েক দফায় ১৬ হাজার টাকাসহ ওই স্কুল ছাত্রীর স্বর্ণের চেইন, হাতের ব্যাসলেট ও একটি হাতের সোনার আঙটিসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণের গহনা নেয় তারা। গতকাল সোমবার আবারও তারা ওই স্কুলছাত্রীকে মহিলাকলেজের পাশে আসামী জুবায়ের এর মায়ের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা দাবী করে। দাবী অনুযায়ী টাকা না দিলে ভিডিওসহ ছবি নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।
বিষয়টি স্কুলছাত্রীর পরিবার বুঝতে পেরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানান। পরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম কেদারগঞ্জ এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
এ বিষয়ে ৬ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশের অধিকারিক (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাতে ৬জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও এ ঘটানর সাথে জড়িত বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।