শিরোনাম
◈ রাবি হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৯ প্রার্থী ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে যেভাবে ধরা পড়ল ৫০ প্রতারক! (ভিডিও) ◈ জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নাম‌ছে, কিন্তু কেন ◈ ভ্যালেন্সিয়ার জা‌লে বার্সেলোনার ৬ গোল ◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ◈ ডাকসুতে শিবিরের জয়—প্রচারণা, কৌশল নাকি জনপ্রিয়তা? ◈ জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিল- প্রস্তাব জামায়াতের

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৩ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লকডাউনে পুলিশের সাথে যুবকের ধস্তাধস্তি, ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে পুলিশের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়েছে। গতকাল রোববারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, রিকশা থামিয়ে মাস্কবিহীন যুবকের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এর আগে রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগ-বিতণ্ডা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। লকডাউনে পুলিশ চেকপোস্টে ওই চিকিৎসকের গাড়ি থামিয়ে আইডি কার্ড দেখতে চায় পুলিশ। আইডি কার্ড নেই জানালে মুভমেন্ট পাস চায় পুলিশ। এ সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন চিকিৎসক। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে তার বেশকিছু সময় বাগ-বিতণ্ডা হয়।

জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মাস্কবিহীন রিক্সাযোগে উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। মডেল স্কুলের সামনে মডেল থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা তার রিক্সা গতিরোধ করে। এ সময় ওই যুবক বলতে থাকেন- ‘অন্য রিক্সা ছেড়ে দিছস! আমার রিক্সা কেন ধরা হয়েছে?’ একপর্যায়ে তাকে রিক্সা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকে। পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চায় ঐ যুবক। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকে- ‘এ দেশ পুলিশের দেশ।’ হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাকে পিছমোড়া করে চেপে ধরলে রাস্তার আশপাশে থাকা লোকজন উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকে। হাতকড়া লাগানোর পর ওই যুবক পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, থানায় নেওয়ার পর জানা গেছে ওই যুবক কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চায়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলকো দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী জানান, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের উপর ক্ষেপে যায় এবং মারতে আসে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে হাত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়