রাশিদ রিয়াজ : উধাও মানে ৪ মিলিয়ন পাইন্ট মদ ছুটির দিনে খেয়ে হৈ হুল্লোড় করে কাটিয়ে দিয়েছে ব্রিটিশ নাগরিকরা। কয়েক মাসের লকডাউন প্রত্যাহারের পর পাব ও বারে অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হন। গত সোমবার অনেক দোকানপাটও খুলে দেওয়া হয়। অনেক পার্কে বেড়াতে যান। দিনে গড়ে ৪০ লাখ পাইন্ট মদ খাচ্ছেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। কারণ লকডাউনে এসব পাব ও বার বন্ধ থাকায় তাদের তৃষ্ণা বেড়েছে। অন্তত ২.৭ মিলিয়ন ব্রিটিশ নাগরিক গলা ভেজাতে মদ ঢালছেন।
আবহাওয়া একটু উষ্ণ হয়ে ওঠায় তাদের তৃষ্ণা আরো বেড়ে গেছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর’এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ভেন্যুতে এখন অ্যালকোহল পরিবেশন করা হচ্ছে এবং ২০ মিলিয়ন মানুষ দেশটির রাস্তায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্যে বের হয়েছে। রোদময় বসন্তবাতাসে বেশ ফূর্তি করে ঘুড়ে বেড়ানোর মত আবহাওয়া বিরাজ করছে ব্রিটেনে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপ সেমিফাইনালের খেলা দেখতে ৪ হাজার ফুটবল দর্শক জড়ো হন।
গত ডিসেম্বরের পর এই প্রথম পেশাদারি ফুটবলের আয়োজন গড়াল ব্রিটেনের মাঠে। ৩২৫ জন স্নুকার ভক্তকে শেফিল্ড ক্রুসিবল থিয়েটারে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। লকডাউন শিথিলের পর বিভিন্ন ভেন্যুতে স্বাস্থ্যবিধি কতটা অনুসরণ করা হচ্ছে এবং সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ব্রিটিশ পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে এবং তা তদারকি করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ। ইতিমধ্যে ৪২ মিলিয়ন ব্রিটিশ নাগরিক কোভিড টিকা নিয়েছেন যাদের মধ্যে ১০ মিলিয়ন নিয়েছেন দুটি ডোজও। এখনো ব্রিটেনের প্রধান প্রধান শহরে ছুটি বা উৎসব ছাড়া পাব ও বারগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্র সৈকত ও বিউটি শপগুলোতে বেজায় ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট কমিশনার জেন কনোরস নাগরিকদের স্মরণ করতে বলেছেন যে মহামারীর ব্যপ্তি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তিনি বলেন এটা খুব জরুরি সবার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা যাতে ফের লকডাউনের কড়াকড়ি আরোপ করতে না হয়।