শাহিদুল ইসলাম:[২] সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক লকডাউন ও পবিত্র রমজান কে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল দেবিদ্বারের কাঁচাবাজার। হু হু করে বাড়ছে অধিকাংশ সবজির দাম,বাজারের এমন চিত্রে দিশেহারা অবস্থায় ক্রেতারা।
[৩] বাজারঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন কিছু কিছু পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তুলনামূলক দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। পক্ষান্তরে ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান কে কেন্দ্র করে কিছু কিছু পণ্যের দাম দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য ক্রয় করা কষ্টসাধ্য। তারা আরো বলেছেন, ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম দুই তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের কোনো লাভ হচ্ছে না।
[৪] বাজার ঘুরে বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো, গাজর, শসা সহ অন্যান্য সবজির দামেও অস্বাভাবিক তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মিঠুর কাছে সবজির অস্বাভাবিক দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানকার স্থানীয় আড়ৎ নিমসার বাজারে আমদানি কম হওয়ার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেশি।
[৫] বর্তমান বাজারে সবজির দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র দাস জানান, বেগুন কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লেবু হালি প্রতি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১০০থেকে ১২০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ও পটল ৪০ টাকা এবং বরবটি কেজি প্রতি ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
[৬] ক্রেতা ইউসুফ মিয়া জানান, রমজানের আগে শসা কিনেছি ২৫ টাকায়, আর আজকে শসা কিনতে হয়েছে ৬০ টাকায়। গাজরের কেজি ছিল ২০ টাকা, এখন দাম বেড়ে তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আরেকজন ক্রেতা কিশোর জানান, তিনদিন আগেও টমেটো ২০ টাকায় কেজি কিনেছি তা আজকে ৪০ টাকা, রমজানের আগে ৩০ টাকায় মরিচের কেজি কিনেছি। আজ এক কেজির দাম চাচ্ছে ১২০ টাকা। যা এখন এক পোয়ার দাম, তখনের এক কেজি মূল্য সমান।
[৭] তবে ক্রেতাদেরর অভিযোগ,সরকারী দায়ীত্বশীল কোন প্রতিষ্ঠানই এই ব্যাপারে নজরদারি না করায় বাজারের এই অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির পেছনের কারন। তাদের দাবী নিয়মিত বাজার তদারকিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ জরুরী।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন