কামরুল হাসান মামুন: সকালবেলা হাঁটতে গিয়ে হাঁটা শেষ করে বাসার সামনে দেখি এই দৃশ্য। ভাবছিলাম আমাদের তো এসি ছেড়ে গরমে শীতের আবহ বানিয়ে নরম জাজিমওয়ালা বিছানায় শুয়েও এতো গভীর ঘুম হয় না। কাছের কতো মানুষকে জানি ঘুম না হওয়া জনিত কষ্টে ভুগে। কতো ডাক্তার দেখায়, কতো ওষুধ খায়। আর এই মানুষটার ঘুমের কোনো সমস্যা নেই। করোনার কোনো ভয় নেই। কারণ করোনার ভয়তো ক্ষুধার ভয়ের চেয়ে বড় না। সারাদিন রিকশা চালিয়ে এসে ঘুমাচ্ছে এবং একইসঙ্গে নিজের রিকশা পাহারা দিচ্ছে। যাত্রী বসার সিটকে এমন করে বিছিয়ে পা লম্বা করে ঘুমতো দূরে থাক শুতেও আমরা অনেকেই পারবো না।
বাইরে কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছে। শখে তো বের হয়নি। ক্ষুধা knows no bounds. পেটে যখন ক্ষুধা আসে, কী দিয়ে আটকাবেন তাকে? সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে কিন্তু তাদের কথা ভাবেনি। আমাদের দেশের গরিব মানুষের তুলনায় অনেক অবস্থাসম্পন্ন ধনী দেশের গরিবরা। তথাপি সেসব দেশে লকডাউন দেওয়ার আগে গরিবদের কথা আগে ভাবে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবে কঠোর বা শিথিল লকডাউন দেয়। ফেসবুক থেকে