আমিনুল জুয়েল: [২] বিশ্বে মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কঠোর লকডাউন পালন করা হলেও এখানকার জনগণ উদাসীন। বিনা কারনেই বাড়ির বাহিরে আসছে অনেকেই। তাঁদের মধ্যে নেই মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো প্রবণতা। এদিকে, শনিবার সাপ্তাহিক পশুর হাট খোলা রয়েছে এই উপজেলায়। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে।
[৩] দিনের কোনো অংশে পুলিশের গাড়ি বা পুলিশের আনাগোনা দেখলেই আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা হয়ে যায়। জনশূণ্য হয় এলাকাটি। প্রধান সড়কটি ফাঁকা থাকলেও মানুষের ভীড় বাড়ে ছোট গলিতে। মুহূর্তেই দোকানের স্যাটার (ঝাঁপ) নামানোর শব্দ শোনা যায়। সবাই এদিকে-ওদিক ছুঁটো-ছুঁটি শুরু করে। অটো-রিকশার চালকরা যাত্রী ছেড়ে পালায়। পুলিশের মামলা ভয়ে পথিকরাও মুখে ঠিকঠাক মাস্ক পরিধান করা আছে কি-না, তা যাচায় করে। অনেকেই আবার কৌশলে হাতে বাজারের ব্যাগ রাখে। যাতে প্রশাসন বা পুলিশের জেরার সম্মোখীন না হতে হয়।
[৪] সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের অটোচালক আজাহার আলী জানান, করোনায় রোজগার বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অনেকেই গাড়িতে উঠলে করোনা ভয়ে দুইজনের বেশি যাত্রী নিতে দেয় না। অথচ আমাদের অটোতে ছয় থেকে আটজন যাত্রী বহন করা যাবে। গত কয়েকদিন আগে ইউএনও স্যার অটোচালকের জরিমানা করেছিল। এই ভয়ে বের হতে ইচ্ছে করে না কিন্তু বের না হলে, রোজার সময় খাব কি?
[৫] আক্ষেপ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশেরা অযথা অটোতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। অটোর অনেক ক্ষতি হয়। সেগুলো সারতে (মেরামত) দিনের কামায় চলে যায়। আমারও বের হতে ইচ্ছে করে না। প্রশাসন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেহায়ার মতো অটো চালাতে ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো?
[৬] এদিকে, উপজেলায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গত দুইদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪টি মামলায় সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও এক যুবককে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[৭] এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সীমা শারমিন জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন যারা অমান্য করবে তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :