ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] রোববার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় আগের দিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি প্রাইভেট গাড়ি। আব্দুল্লাহপুর সড়কে প্রাইভেট গাড়ির দীর্ঘ যানজটও দেখা গেছে। সময় টিভি
[৩] আমাদের সময়.কমের রিপোর্টার মিনহাজুল আবেদীন জানায়, বাজার থেকে তিব্বত পর্যন্ত তীব্র যানজট। এই যানজটে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির লিজ দেওয়া গাড়ি।
[৪] তিনি আরো জানায়, কাকরাইল ও রাজধানী মার্কেটে দেখা গেছে রিকশা ও অটো রিকশা ধরে পুলিশ আটকিয়ে রেখেছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ।
[৫] মিনহাজ বলেন, মতিঝিল, হাটখোলা রোড, মগবাজারে দেখা গেছে, আগের চেয়ে সাধারণ লোকের চলাচল অনেক বেশি।
[৬] আমাদের সময়.কমের সিনিয়র রিপোর্টার সুজন কৈরী জানান, রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের প্রধান প্রধান সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ও রাস্তায় মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রিকশার চাহিদা বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। অন্যদিকে রিকশাচালকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করায় কিছুটা বেশি ভাড়া চেয়ে নিচ্ছেন তারা। এছাড়া ওষুধ, জরুরি পণ্য, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়িও চলাচল করতে দেখা গেছে।
[৭] তিনি আরো জানান, রিকশার পাশাপাশি সড়কে খ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে মোটরসাইকেল চালকদের। এছাড়া সড়কগুলোতে লকডাউনের প্রথম চার দিনের চেয়ে ৫ম দিন ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য বেশি দেখা গেছে।
[৮] কৈরী আরো জানান, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে খোলা রয়েছে ছোট ছোট মুদিও দোকান, ওষুধের দোকান, চায়ের দোকান এবং ভ্যান গাড়ি নিয়ে বসেছে ভ্রাম্যমান দোকানও। মাঝে মধ্যে পুলিশ গিয়ে দোকানগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। পুলিশ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবারও খুলছে দোকানগুলো। তবে কৌশল হিসেবে দোকানের সাটার পুরোপুরি না খোলে অর্ধেক খোলা রাখছেন দোকানীরা। বাইরে কোনো কিছু ঝুলিয়েও রাখছেন না। দূর থেকে দেখলে দোকান বন্ধ মনে হবে। রমজান মাস হওয়ায় চায়ের দোকানগুলোতে কাপড় টাঙানো রয়েছে। এছাড়া অলিগলির বিভিন্ন স্থানে দুই থেকে তিনজন আবার কোথাও এর চাইতে বেশি তরুণকে একত্রে চলাচল ও কোথাও দাড়িয়ে খোশগল্পে মেতে থাকতে দেখা গেছে। তাদের কারও কারও মুখে মাস্ক ছিল আবার কারও থুঁতনিতে ঝুলছিল আবার কারও ছিলনা।
[৯] তিনি আরো জানান, এদিকে মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় প্রধান সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে তৎপর রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানে সড়কে বের হওয়া গাড়িগুলো আটকে বের হওয়ার কারণ ও মুভমেন্ট পাস চেক করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। যারা জরুরি সেবার অন্তভর্‚ক্ত নন এবং অপ্রয়োজনে বের হয়েছেন তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর যাদের মুভমেন্ট পাস রয়েছে এবং জুরুরি সেবার সংশ্লিষ্ট তাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র দেখে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়কে চলাচলরত রিকশা আটকিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আবার কোনো সময় রিকশা সড়কের পাশে উল্টিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে যাত্রী থাকলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
[১০] কৈরী আরো বলেন, ৬০ ফিট এলাকায় পুলিশি চেকপোস্ট দিয়ে রিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রিকশা আটকিয়ে তা উল্টিয়ে রাখা হচ্ছে। এছাড়া গাড়ি নিয়ে যারা যাচ্ছেন, তাদের থামিয়ে মুভমেন্ট পাস চেক ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। যৌক্তির কারণ থাকলে যাওয়ার অনুমতি মিলছে।
[১১] তিনি জানান, চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা বলেন, যারা বের হয়েছেন, তাদের মুভমেন্ট পাস চেক করছি। তারা জরুরি প্রয়োজনেই বের হয়েছেন। যারা অপ্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।