ডেস্ক রিপোর্ট : করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশের সরকার। এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা রকম ধারণা, ভ্রান্ত ধারণা, মতবাদ প্রচলিত আছে। অবশ্য শুধু বাংলাদেশ কেন পুরো বিশ্বেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মানুষের ধারণা সুখকর নয়। তবে করোনাকালে আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বিশ্বের প্রচার মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল মধুপুরে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির মানবিকতা:
পাবনার শতাধিক ধান কাটার শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় পাঠালো টাঙ্গাইল মধুপুরে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। শনিবার দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে দুটি বাসে করে তাদেকে পাঠানো হয়। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়ন।
জানা যায়, শুক্রবার(১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে পাবনা সদর ও সুজানগর উপজেলা থেকে দুটি ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে শতাধিক ধান কাটার শ্রমিক হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর যাচ্ছিল। সাড়ে ১২টার দিকে মধুপুর এলেঙ্গা হাইয়ে পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্টে আসলে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির স্বার্থে ট্রাক দুটি শ্রমিকসহ ফাঁড়ি হেফাজতে নেওয়া হয়। রাতের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে না পাঠাতে পেরে দুপুরে দুই বাসে করে মানবিক দিক বিবেচনা করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ট্রাক দুটির চালক কুরবান আলী ও উজ্জ্বল বলেন, এভাবে ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়ে এতোগুলো মানুষের যাওয়া ঠিক হয়নি। পরে হাইওয়ে পুলিশ বাসের ব্যবস্থা করে গন্তব্যে পৌঁছায়।
শ্রমিক বিল্লাল মিয়া বলেন, সরকারে নিষেধ মান্য করে এভাবে ট্রাকে করে যাওয়ায় আমরা ভুল করেছি। পরে হাইওয়ের পুলিশের স্যাররা বাসে করে আমাদের কাজের জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, করোনা মহামারিতে সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দুটি ট্রাকে গাদাগাদি করে শতাধিক ধান কাটার শ্রমিক খুবই ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিল। এটি হাইওয়ে পুলিশের নজরে আসলে তাদেরকে আমাদের হেফাজতে রেখে মানবিক দিক বিবেচনা করে দুটি বাসের ব্যবস্থা করে গন্তব্য স্থলে পৌঁছে দেই। প্রাথমিকভাবে এসময় তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকগুলোও (খাবার/বিশ্রাম) বিবেচনায় রেখে সহযোগিতা করেছি।