শরীফ শাওন: [২] সিপিডি ও বিলসের যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমনির্ভর দরিদ্র এ দেশে করোনার অতিমহামারিতে দারিদ্রের হার ক্রমশ বেড়ে ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শহর অঞ্চলের ৬৯ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ।
[৩] বিশ্ব ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসময়ে মানুষের আয় কমেছে ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকায় ৪২ এবং চট্টগ্রামে ৩৩ শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ।
[৪] শনিবার ওয়েবিনারে সিপিডির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, শহর অঞ্চলে ইনফরমাল ইকোনোমি থেকে ৬.৭৮ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। উচ্চ পর্যায়ে চাকরি হারিয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ থেকে ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন এসএমই ও ইনফরমাল সেক্টর থেকে।
[৫] এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্য অনযায়ী, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
[৬] সিপিডি বলছে, কম আয়ের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক জটিলতায় পড়েছেন। বিলসের দেয়া তথ্য মতে, খাদ্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন শহরের ৩২ শতাংশ ৮৭ শতাংশ বস্তিবাসী।
[৭] প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়েছে দেশীয় শিল্প, নির্মাণ, পরিবহন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসা, খাদ্য ও ব্যক্তিগত সেবা। মধ্যম পর্যায়ে ঝুঁকিতে আর্থিক খাত, অভ্যন্তরীণ পরিষেবা, আবাসন ও শিক্ষা খাত। এছাড়া কম ঝুঁকিতে কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ খাত।