আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] স্যার আমগো ঘরে খাবার নাই। কাজ না করলি মোগো খাবার দেয়না কেউ । নেতাগো কাছে গেলি হেরা কয় ওই বেটা আইছোস ক্যান কাম কইরা খাবার পারোসনা। তোগো জন্যিকি আমারা খাবার নিয়া বইসা আছি। ওই বেটা যা কাম কইরা খাগা।
[৩] কইলাম স্যার শেখের মাইয়া প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাগোমতো গরীব মাইনসের লাইগ্যা কতো চাল, ডাইল. আটা দেছে তাতো আমরা চহিও দেখতি পারলামনা। প্রশাসনের লোকজন নেতাগো সাথে নিয়ে খাইয়া ফেলাইছে। যা কিছু দেছে তার বেশীর ভাগই পাইছে বড় লেকেরা। গরীব মাইনসে কিছুই পায়না।
[৪] তাই কাম না করলি পেটে খাবার জোটফেনানে বইলাই কাম করতাছি। আর এজন্যিই ঘরের বাইরি বাইরাইছি। কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার কাচামালসহ বিভিন্ন খুচরা মালামাল বিক্রেতারে। কাজ না করলে যাদের আহার জোটেনা এমন এক ধরনের পেশাজীবি মানুষ।
[৫] গোপালগঞ্জ জেলা শহরের সব ধরনের পেশাজীবি মানুষ সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও বিধিনিষেধ মানছেনা কোটালীপাড়া উপজেলার মানুষ।
[৬] বিধি নিষেধ মানাতে স্থানীয় প্রশাসনের আন্তরিকতা একেবারেই নাই এমন কথা উল্লেখ করে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা কাপড় ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেছেন, কোটালীপাড়া ঘাঘর বাজারে অধিকাংশ দোকান পাট ব্যবসা বানিজ্য খোলা রয়েছে।
[৭] স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছেন। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজনকে উকি মারতে দেখা গেলেও অস্বাধু ওই ব্যবসায়ীদের কিছু না বলেই অজ্ঞাত কারনে তারা চলে যায়। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে তারা।