নুর উদ্দিন মুরাদ: [২] নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুরে শুক্রবার রাতে কাদের মির্জার বাড়িতে যে ককটেল হমলার ঘটনা ঘটেছে তা আব্দুল কাদের মির্জার সাজানো নাটক। প্রতিপক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতে এ হামলার নাটক সাজানো হয়েছে।'
[৩] শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন নেতারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জাকে সন্ত্রাসী, মানসিক বিকারগ্রস্থ আখ্যায়িত করে তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
[৫] এসময় তারা কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে শুক্রবার রাতে তাদের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানায় উপজেলা আওয়ামী লীগ।
[৬] সংবাদ সম্মেলনে খিজির হায়াত খান বলেন, শুক্রবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ আসতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তার এই ধৃষ্টতা ও উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা ঐক্যবদ্ধ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘোষণা করছি যে, আমাদের নেতা কোম্পানীগঞ্জে যে কোন সময় আসতে পারবেন।
[৭] তিনি আরো বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে আছি এবং থাকব। যেকোন সন্ত্রাসী ও বিরোধীদলের মদদপুষ্ট ব্যক্তির হুমকি মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। অবিলম্বে সন্ত্রাসী মানসিক বিকারগ্রস্থ আব্দুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
[৮] সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদুল হক কচি প্রমুখ। সম্পাদনা: সাদেক আলী