মোঃ মশিউর রহমান: [২] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকার দেশে কঠোর লকডাউন জারি করেছে। একই সঙ্গে অতি জরুরী সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের অবস্থাও এখন সংকটময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
[৩] শনিবার (১৭ মার্চ) সাংবাদিকদের কাছে এমন দুঃখ প্রকাশ করেন নাজিরপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
[৪] নাজিরপুরের থানার পাশের মুদি দোকান মোঃ রাকিবুল ইসলাম সাংবদিকদের বলেন, ‘সরকারের এ লকডাউনের কারনে আদায় হচ্ছে না চৈত্র মাসের বাকেয়া টাকা এবং আমিও দিতে পারছি না মোকামের বকেয়া টাকা, বর্তমানে খুবই কষ্টে জীবন-যাপন করছি। খুব খারাপ সময় পার করছি।
[৫] পুরাতন পূবালী ব্যাংকের সামনের কম্পিউটার এন্ড ফটোকপির দোকান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি তো ক্ষুদ্র ব্যবসা করি তাও এই লকডাউনের কারনে খুলতে পারছি না দোকান। এভাবে যদি লকডাউন থাকে তা হলে হয় তো পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হবে।
[৬] কালীবাড়ী রোড চায়ের দোকান মোঃ শহীদ বলেন আমি দিনে ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করতাম তাই দিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোনো মতে খেয়ে বেঁচে থাকতাম। এই লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় না খেয়ে থাকতে হবে। সরকার যদি আমাদের কিছু সহায়তা করত তা হলে হয় তো খেয়ে বেচেঁ থাকতে পারতাম। সরকার লকডাউন দিছে আমাদের মত গরিবরা কিভাবে বাঁচবে তা নিয়ে ভাবা উচিৎ ছিল। গত সম্পাহে ১৫ কেজি চাল কিনছিলাম এটা শেষ হলে যে কি দিয়ে চাল কিনব তা জানি না।
[৭] এ ব্যাপারে নাজিরপুর সদর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ পান্নু ফরাজী বলেন এ লকডাউনের কারণে আমিও খুব অসহায় জীবন-যাপন করছি, আর আমার বাজারের ব্যবসায়ীরা ও চরম অসহায় হয়ে পরছে। বিশেষ করে চায়ের দোকান যাদের, তাদের অনুনয়-বিনয় শুনতে হয় প্রতিনিয়ত আমরা কিভাবে বেচেঁ থাকব। সরকারি কোনো অনুদান আসলে তাদেরকে জানান হবে বলে সাক্ষাৎকারে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনিা। সম্পাদনা: হ্যাপি