শিরোনাম
◈ শক্তিধর মালয়েশিয়ার বিরু‌দ্ধে লড়াই করে হারলো বাংলাদেশের মে‌য়েরা   ◈ নিউইয়র্কে মূলধারার রাজনীতিতে সাফল্যের স্বীকৃতি, মেয়র মামদানির ট্রানজিশন টিমে ১২ বাংলাদেশি   ◈ জাতীয় দল নির্বাচক‌দের প্রতি গুরুতর অ‌ভি‌যোগ আন‌লেন অধিনায়ক লিটন দাস ◈ মানহানিকর বক্তব্য প্রচার বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের বিবৃতি ◈ হাসিনাকে ফেরাতে বাংলাদেশের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে ভারত ◈ পে স্কেল নিয়ে নতুন তথ্য, গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা ◈ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিনটি বড় বাধা দেখছেন পর্যবেক্ষকরা ◈ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই, শ্রীলঙ্কা‌কে ৫-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ ‘মায়ের ডাক’খ্যাত বিএনপির প্রার্থী তুলির বিরুদ্ধে মামলা ◈ নতুন মৌসু‌মে বিপিএলের ট্রফিতে আসছে পরিবর্তন 

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবরী

ইমরুল শাহেদ: ষাট ও সত্তর দশকের কিংবদন্তী অভিনেত্রী মিষ্টি মেয়ে কবরী (১৯৫০-২০২১)  কোভিডাক্রান্ত হয়ে মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে রাত সাড়ে ১২টায় মারা গেছেন। কবরীর ছেলে শাকের চিশতী বলেছেন, দুপুর ১টা নাগাদ তাকে বাসায় আনা হয় এবং সাধারণ মানুষের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। বাদ জোহর গার্ড অব অনারসহ জানাজার পর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

কবরীর সর্বশেষ পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির প্রধান সহকারী জানিয়েছেন, তার পাঁচ ছেলের মধ্যে তিন জন থাকেন বিদেশে। প্রথম জন যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় জন থাকেন দুবাই। তৃতীয় জন সম্ভবত কানাডা। তবে দ্বিতীয় ছেলে কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হলে রাত জেগে জেগে তার খোঁজ-খবর রাখতে গিয়ে তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেই সময়ে করোনা পজিটিভও ধরা পড়ে। তিনি জানান, যেহেতু আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বন্ধ সেহেতু তাকে দাফনের প্রবাসে থাকা ছেলেদের জন্য অপেক্ষা করা হবে না। কবরী শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক ও রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তার নির্মাণাধীন ছবিটির নাম ‘এই তুমি সেই তুমি’। এর আগে তিনি পরিচালনা করেছেন ‘আয়না’ ছবিটি।

তিনি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৭১ বছর। তার আসল নাম মিনা পাল। তার পিতার নাম শ্রীকৃঞ্চ দাস পাল। পরে তিনি নাম পরিবর্তন করে হন সারাহ বেগম কবরী। জন্ম বোয়ালখালীতে হলেও তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম শহরে। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন। তার পরের বছরই অর্থাৎ ১৯৬৪ সালে তিনি যুক্ত হন সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ ছবির সঙ্গে। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি ৪০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, সাত ভাই চম্পা, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুক, রংবাজ, সারেং বৌ, সুজনসখী, দেবদাস, মাসুদ রানাসহ জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা' এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া তার অভিনীত কোনো কোনো ছবিকে ট্রেন্ড সেটারও বলা যায়। স্বাধীনতা উত্তর রংবাজ ছবির মাধ্যমে এদেশের চলচ্চিত্রে মারপিট যুক্ত হয়। বাংলার তিন সংগ্রামী নারী বলতে যাদের বুঝানো হয়, তাদের একজন হলো সারেং বৌ ছবির নবিতুন। এছাড়া ঢাকার চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করে ফারুক, উজ্জল ও সোহেল রানার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। বিরল প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেত্রী ২০০৮ সালে নারায়নগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়