মাসুদ আলম: [২] লকডাউনের তৃতীয় দিন শুক্রবার রাজধানীর সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। আবার অনেক চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরিয়ে জরিমানাও গুনতে হয়েছে অনেককে। শুক্রবার সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িসহ যানবাহনের চাপ ছিলো বেশি। রিকশা ও সিএনজি ছিলো একমাত্র ভরসা। মোটরসাইকেল চালকদের ক্ষ্যাপে যেতে দেখা গেছে।
[৩] সরজমিনে দেখা গেছে, সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রাইভেটকার, রিকশা ও মোটরসাইকেল থামিয়ে কে কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মুভমেন্ট পাস আছে কিনা তাও জানতে যাওয়া হয়। আবার অনেককে এমনিতে চলে যেতে দেখা যায়। তবে পাড়া মহল্লায় সবকিছুই স্বাভাবিক। যে যারা মতো রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে। বাজার ও দোকানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। তবে সড়কে যারা হেঁটে চলাচল করছেন, তাদের খুব একটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর সড়কে জনসমাগম বাড়তে থাকে। গণ পরিবহন ছাড়া সবই চলছে স্বল্প পরিসরে। দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ।
[৪] আদ-দ্বীন হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ডলি বেগম বলেন, সকালে খিলক্ষেত থেকে মগবাজার অফিসে যাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে দুইজনে একটি সিএনজি ভাড়া করে অফিসে যান। ভাড়াও গুনতে হয় দ্বিগুন। স্বপ্ল পরিসরে গণপরিবহন চালু থাকলে হয়তো অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ হতো না।
[৫] পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাহিরে বেরিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। তবে মুভমেন্ট পাস নিয়ে অনেকেই জরুরি কাজের চাইতে ব্যক্তিগত কাজে বেশি বের হতে দেখা গেছে।