লিহান লিমা: [২] ইউএনএফপিএ’র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রায় অর্ধেক নারী ও কিশোরী নিজেদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার পান না। জাতিসংঘের ‘আমার শরীর আমার অধিকার’ নামক প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতিকে ‘আশঙ্কাজনক’ ও ‘নারীর সুরক্ষার জন্য মারাত্মক হুমকি’ বলে উল্লেখ করা হয়। আল জাজিরা, গার্ডিয়ান
[৩]এই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫৭টি দেশের (পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৪৩ শতাংশ) ও (দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারা আফ্রিকার ৫০ শতাংশ) নারী সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশের মতো বিষয়গুলোতে তাদের কোনো মতামত থাকে না। মালি, নাইজার ও সেনেগালের মতো কয়েকটি দেশে ৯০ভাগের বেশি নারী নিজেদের শরীরের ওপর স্বত্ব থেকে বঞ্চিত।
[৪]ইউএনএফপিএ’র নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার নাতাইলি কেম বলেন, এর মানে বিশ্বের লাখ লাখ নারী নিজেদের শরীর নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন না, তাদের জীবন অন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
[৫]এরমূল কারণ হিসেবে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, লিঙ্গ বৈষম্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের অভাবকে দায়ী করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরফলে একটি দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়।
[৬]প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ২০টি দেশে ধর্ষককে বিয়ে করার আইন রয়েছে যার ফলে একজন ধর্ষক ভুক্তভোগীকে বিয়ে করলে বিচার থেকে অব্যাহতি পেয়ে যান। সেই সঙ্গে বিশ্বের ৩০টির মতো দেশে নারীদের একা বের হওয়ার অনুমতি নেই। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো অনেক দেশে সাংবিধানিকভাবেই নারীরা পুরুষের তুলনায় মাত্র ৭৫ভাগ আইনী অধিকার পান।
[৭]জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধনী বা দরিদ্র দেশের সঙ্গে নারীর প্রতি সহায়তামূলক আইনের কোনো সম্পর্ক নেই। কলম্বিয়া, লাওস ও মোজাম্বিকের মতো দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা, তথ্য ও শিক্ষায় নারী পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :