ইমরুল শাহেদ: দুই জন দুই দেশের ও বিদেশের দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুজন ফারুক, যিনি মিঞা ভাই হিসেবে সমধিক পরিচিত, রয়েছেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও অবনতির দিকে চলে গেছে ষাট দশকের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ও মিষ্টি মেয়ে হিসেবে খ্যাত কবরীর শারীরিক অবস্থা। তিনি মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ১৫ এপ্রিল কবরীর পুত্র শাকের চিশতী গণমাধ্যমকে জানান, তার মায়ের অবস্থা ভালো নয়। তিনি বলেন, ‘আম্মার শরীর খুব খারাপ। চিকিৎসকরা বলছেন ক্রিটিক্যাল। দোয়া করবেন।’
হাসপাতালে কবরীর সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন ছেলে শাকের চিশতী। অন্যদিকে একটা সময়ে ফারুকের মৃত্যুর গুজব রটলে তার স্ত্রী এবং পুত্র দুজনেই নাকচ করে বিবৃতি দিয়ে জানান, ফারুক ভালো আছেন এবং তার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে তার বর্তমান অবস্থা কি তা নিশ্চিত করা যায়নি। সুজনসখী তথা কবরী ও ফারুক প্রথম জুটি বাধেন এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ ছবিতে। এটা ছিল ফারুকের প্রথম ছবি।
এই জুটির চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে খান আতাউর রহমান পরিচালিত সুজন সখী ছবিতে। তাদের অনবদ্য অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়ে আছে আবদুল্লা আল মামুন পরিচালিত ‘সারেং বৌ’। এই ছবিতে কবরী এক সংগ্রামী নারীর চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিও সারেং বৌয়ের ইমেইজকে গ্রাস করতে পারেনি। অন্যদিকে ফারুক শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হলেও গ্রামীণ তারুণ্যের প্রতিভূ হয়ে উঠেছেন পর্দায়। জীবনতৃঞ্চা, নয়নমণিসহ আরো কিছু ছবি ফারুককে করে তুলেছে দর্শকের প্রিয়জন। ঢাকার চলচ্চিত্রের এই দুই বরেণ্য শিল্পী সুস্থ হয়ে আবার সবার মাঝে ফিরে আসবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।