মেহেদী হাসান: [২] গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বকারী আব্দুল ওয়াহেদ এবং কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা না করে লক-ডাউনের মধ্যে কারখানা খোলা রেখে শ্রমিক হয়রানির নিন্দা এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
[৩] করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
[৪] বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গার্মেন্টস মালিকরা বারবার নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছেন। তারা উৎপাদন এবং রপ্তানির প্রয়োজন দেখিয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের ব্যবস্থা এবং কারখানায় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন এই শর্তে লক-ডাউনের মধ্যে পোষাক কারখানা খোলা রাখার অনুমতি নিয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা না করে কারখানা খোলা রাখায় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনেই শ্রমিকরা পরিবহন সংকট, অতিরিক্ত যাতায়াত ব্যায় বহন, জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাছাড়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও সকল কারখানায় প্রয়োজনীয় আয়োজন করা হয়নি।
[৪] নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি এই সত্যকে নতুন করে সামনে এনেছে যে শ্রমিকরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের উৎপাদন, রপ্তানি তথা অর্থনীতির চাকা চালু রাখে। অথচ সেই শ্রমিকরা ঠিকমত খাদ্য ও চিকিৎসা পায়না। সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি এবং লক-ডাউনের মধ্যেও বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়া এবং গাজিপুরে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।
[৫] শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা দিতে হবে এবং ফ্রন্ট লাইনার হিসাবে বিবেচনা করে করোনা পরীক্ষা এবং টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর করোনার অজুহাতে গতবছরের মত শ্রমিক ছাঁটাই কিংবা বেতন-ভাতা কর্তন করা যাবেনা বলেও দাবি জানিয়েছেন তারা। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :