মাসুদ আলম : [২] করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আজ থেকে শুরু সপ্তাহব্যাপী লকডাউন। বুধবার ভোর থেকে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। ব্যারিকেডগুলোর সামনে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্য। একজন গাড়ি থামাচ্ছেন, অন্যরা ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছেন। কারণ যৌক্তিক হলে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর অতি জরুরি না হলে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
[৩] সরেজমিন দেখা গেছে, আগের বিধি নিষেধে সময় সড়কে যে পরিমাণ যানবাহন বা মানুষ দেখা গিয়েছিল, এবার তুলনামূলক কম। অধিকাংশই হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলছেন। কেউ কেউ অনলাইনে পণ্য ডেলিভারির কথা বলে এলাকায় প্রবেশ করেছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। তবে অল্প সংখ্যক মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা এবং মোটরসাইকেলে চলাচল করছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ মুভমেন্টপাস দেখতে চাইলে অনেকে উল্টো পুলিশকে বলছে এটা কোথায় পাওয়া যায়। যাদের পাস নেই তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
[৪] এদিকে সকাল থেকে মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। সচেতনার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে।
[৫] ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ বলেন, অনেকে জরুরি কাজ ছাড়া গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে। অনেকে আবার কাচাঁবাজারের জন্য বের হয়েছে। বের হওয়ার পেছনে নানা চুক্তি দেখায়। তাদের বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যারা মাস্ক পরছেনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের সচেতনার পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করছেন।
[৬] ভাটারা বোটঘাটের হানিফ এন্টারপ্রাইজের কর্মচারি মহসিন ইসলাম বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছি। যারা মাস্ক পরে না তাদের বলছি মাস্ক ছাড়া কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না। তবে অনেকেই মাস্ক পরছেন।
আপনার মতামত লিখুন :