স্পোর্টস ডেস্ক : আগেরদিনই জেনোয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে পেয়েছে জুভেন্টাস। আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলের ওই জয়ে অবশ্য জুভেন্টাস রয়েছে সিরি-আ’র তিন নম্বর স্থানেই। যদিও এই ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি রোনালদো।
যে কারণে, রেফারি শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ-রাগান্বিত রোনালদো নিজের জার্সি খুলেই ছুঁড়ে মারেন। শুধু তাই নয়, ড্রেসিং রুমে গিয়ে হতাশায় দেয়ালে ঘুঁষি মারেন বলেও জানা যাচ্ছে।
রোনালদোর জার্সি ছুঁড়ে মারাটা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি জুভেন্টাস সমর্থকরা। তারা এর তুমুল সমালোচনা করছেন। যদিও ইতালির জনপ্রিয় লা গ্যাজেট্টা দেল্লো স্পোর্ট দাবি করছে, রোনালদো নাকি তার জার্সিটা একজন বল বয়কে বলেছেন তুলে নিতে।
এমন বিতর্ক যখন ঘিরে ধরেছে রোনালদোকে, তখন তিনি রয়েছেন ঠিক নিজের মতোই। রীতিমত রিল্যাক্স। কোনো সমালোচনাই তাকে স্পর্শ করতে পারেননি। ম্যাচের পরদিন ঠিকই তিনি হাজির হয়ে গেছেন নিজের জিমনেশিয়ামে। শরীরে ফিটনেস ঠিক রাখার প্রয়োজনীয় পরিশ্রম করে গেলেন।
তবে, সমালোচনামুখর একটি দিনের পর জিমনেশিয়ামে রোনালদো একা একা যাননি। কিংবা তাকে একা থাকতে দেয়া হয়নি। তার সঙ্গী ছিলেন বিশেষ একজন। বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। বান্ধবীকে নিয়েই জিমনেসিয়ামের ‘ওয়ার্কআউট’ করলেন। এরপর দুটি ছবি তুললেন তারা দু’জন। যে দুটি ছবি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল।
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রোনালদো শুধু শর্টস পরা। বাকি শরীরটা উদোম। তার সঙ্গে গোলাপি রঙয়ের টাইস এবং হালকা আকাশী রঙয়ের গেঞ্জি পরা জর্জিনা রদ্রিগেজ। অন্য ছবিতে জর্জিনার পোশাক একই থাকলেও রোনালদোর শরীরে দেখা যাচ্ছে শর্টসের সঙ্গে কমলা রঙয়ের টি-শার্ট।
রোনালদো নিজের ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ওয়ার্ক ডান।’ অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেছেন ২৭ বছর বয়সী জর্জিনাও। এরই মধ্যে তার ইনস্টগ্রামে ফলোয়ার ২৪ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। জর্জিনা লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার সেরা সঙ্গীর কাছ থেকে শিখেছি।’