হারুন-অর-রশীদ: [২] জেলার সালথায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি থেকে মানুষকে মারধরের কোনো সত্যতা পায়নি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি। ৫ এপ্রিল বিকেলে সালথার ফুকরা বাজারে এসি ল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে দু–তিনজন মানুষকে পেটানোর ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাণ্ডব চালান স্থানীয় একদল মানুষ।
[৩] এদিকে ওই দিনের তাণ্ডবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
[৪] কী কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আলীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ৬ এপ্রিল গঠিত ওই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি গতকাল রোববার (১১ এপ্রিল) ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের হাতে তদন্ত প্রতিবেদন তুলে দেয়।
[৫] জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘এসি ল্যান্ড এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে’, ‘একজন হুজুরকে পুলিশ আটক করেছে’, ‘পুলিশের গুলিতে চার–পাঁচজন নিহত হয়েছে’— এ জাতীয় নানা ধরনের গুজব রটিয়ে পরিকল্পিতভাবে সালথায় ওই দিন সহিংস তাণ্ডব সৃষ্টি করা হয়েছে। এ কথাগুলো তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে এ তাণ্ডবের পেছনে কোন কোন শক্তি কী কী উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেছে তা পুলিশি তদন্তে বের হয়ে আসবে।
[৬] জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘এসি ল্যান্ড এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে পিটিয়ে মাজা ভেঙে দিয়েছে’—এ গুজবের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এসি ল্যান্ড ওই বাজারে গাড়ি থেকেই নামেননি। এমনকি তাঁর গাড়ি থেকে অন্য কেউ নেমেও কোনো দোকানদারকে পিটুনি দেননি।’
[৭] জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, এসি ল্যান্ডের ভূমিকার বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে কঠিনভাবে তদন্ত করে দেখেছেন। তাঁকে (এসি ল্যান্ড) অনেক জেরা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই তদন্ত কমিটির পাঁশাপাশি প্রশাসনিক একটি তদন্ত কমিটিও এসি ল্যান্ডের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করেছে। সে কমিটিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি এনজিওর একজন প্রতিনিধিও ছিলেন। সে প্রতিবেদনেও এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।