শিরোনাম
◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৩১ সকাল
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বসবাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এশিয়া প্যাসিফিক

অনলাইন ডেস্ক: ধনীদের জন্য এশিয়া প্যাসিফিকে বসবাস সবচেয়ে ব্যয়বহুল। বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হিসেবে সাংহাই এবার হংকংকে ছাড়িয়ে গেছে। বিলাসবহুল জীবনধারা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বেসরকারি ব্যাংকিং সংস্থা জুলিয়াস বেয়ার গ্রুপ লিমিটেডের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ অঞ্চলের সাফল্যের কারণ হলো, কভিড-১৯ মহামারী থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডিয়ান ডলারের তীব্র অবমূল্যায়নের কারণে আমেরিকা মহাদেশে বসবাস সাশ্রয়ী ছিল। খবর ব্লুমবার্গ।

জুলিয়াস বেয়ার গ্রুপের এশিয়া প্যাসিফিকের মার্কেট ও ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সলিউশনস বিভাগের প্রধান রাজেশ মানওয়ানি বলেন, এশিয়ার শহরগুলো এখন তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয়বহুল। মহামারীটি শহরগুলোয় সমানভাবে আঘাত করেনি। এশিয়ার বাইরের শহরগুলো এখনো মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে এশিয়ার শহরগুলো অন্যদের চেয়ে বেশি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এখানে বসবাসও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।

ব্যাংকিং সংস্থাটির হিসাবে বিলাসবহুল জীবনযাপনে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সাংহাই, টোকিও, হংকং, মোনাকো, তাইপে, জুরিখ, প্যারিস, লন্ডন, সিঙ্গাপুর ও নিউইয়র্ক।

কভিড-১৯ সংকট একদিকে লাখ লাখ মানুষকে দরিদ্র ও বেকার করেছে, অন্যদিকে ধনী ব্যক্তিদের আরো ধনী করেছে। কভিড-১৯ মহামারীতে ঘরবন্দি অবস্থায় মানুষ অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে এবং অনলাইন কেনাকাটা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। প্রযুক্তি জায়ান্টদের সম্পদও তরতর করে বেড়েছে। এ ধাক্কায় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ কয়েক গুণ বেড়ে যায় এবং নতুন করে অনেকে বিলিয়নেয়ারের তালিকায় জায়গা করে নেন।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫০০ ধনী ব্যক্তি গত বছর সম্মিলিতভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার আয় করেছেন। এক্ষেত্রে টেসলা ইনকের প্রধান ইলোন মাস্ক ও অ্যামাজন ইনকের প্রধান জেফ বেজোস সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন।

জুলিয়াস বেয়ার গ্রুপ জানিয়েছে, গত বছর পর্যটন খাত সংকুচিত হওয়ার ফলে হোটেল ব্যয় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ কমে গেছে। আর উড়োজাহাজের বিজনেস ক্লাসের টিকিট ১১ শতাংশ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। এয়ারলাইনসগুলোর আয় কমে যাওয়ায় বিলাসবহুল বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এ ভ্রমণ ব্যয়। আবার নারীদের বিলাসবহুল জুতার দাম ১২ শতাংশ কমে গেছে। এশিয়ায় ধনী ব্যক্তিদের পণ্য ও পরিষেবা ব্যয় ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে কম ছিল।

জুলিয়াস বেয়ারের এশিয়া প্যাসিফিকের গবেষণা প্রধান মার্ক ম্যাথিউসের মতে, গত বছর সূচকগুলোর দাম ৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় সাংহাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরীতে পরিণত হয়েছিল। যেখানে হংকংয়ে স্থিতিশীল ছিল। সাংহাইয়ে বিজনেস ক্লাসের ফ্লাইটের দাম ৮২ শতাংশ এবং হোটেল ব্যয় ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বজুড়ে বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ব্যয় ২০২০ সালে মাত্র ১ শতাংশ বেড়েছে। জুলিয়াস বেয়ারের গ্লোবাল ওয়েলথ অ্যান্ড লাইফস্টাইল শীর্ষক প্রতিবেদনে ২০টি বিলাসবহুল আইটেমের মূল্যবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অঞ্চলগুলোর ২৫টি শহরের অতিধনীদের জীবনযাত্রা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত বিশ্বে খাপ খাইয়ে নিতে সংস্থাটির নতুন এ প্রতিবেদনে ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক, বিয়ের ভোজ, বোটক্স ও পিয়ানো বিভাগগুলোকে বাদ দিয়ে বাইক, ট্রেডমিল, স্বাস্থ্যবীমা ও প্রযুক্তি প্যাকেজ বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়