আনিস আলমগীর: বিজেপির শয্যাসঙ্গিনী তসলিমা নাসরিন যে একটি মানসিক বিকারগ্রস্থ মহিলা অতিসম্প্রতি ইংল্যান্ডের দামী ক্রিকেটার মঈন আলীকে কটাক্ষ করে টুইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বকে সে প্রমাণ করে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ এবং ইসলাম সম্পর্কে ঘৃণা জানানো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে সে বিজেপির দেওয়া ভাতা জায়েজ করলেও `মঈন আলি টুইট' যে সারা বিশ্ব থেকে তার জন্য এত নিন্দা বয়ে আনবে ভাবতে পারেনি। এমনকি তার গুণমুগ্ধ ভারতীয়রাও তাকে তুলনা করছে কঙ্গনা রানাওয়াত নামের এক বিকারগ্রস্থ অভিনেত্রীর সঙ্গে, যে সকাল-বিকাল বিতর্কিত টুইট করে আর মুছে, আলোচনায় থাকার জন্য।
অবশেষে তসলিমাও তার টুইটার একাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা শুরু হলে মঈন আলী টুইট প্রত্যাহার করে নেয়। তসলিমা মঈন আলি সম্পর্কে বলেছিল, ‘ক্রিকেট না খেললে মঈন আলী হয়তো (ইসলামী টেরোরিস্ট গ্রুপ) আইসিস-এর সদস্য হতে পারতো।’
ঠিক একই রকম কথা বছরখানেক আগে এই বিকৃত মস্তিষ্কের মহিলা আমাকেও বলেছিল। আমার অপরাধ হচ্ছে, ভারতীয় একটি ঘটনায় মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদীদের অতি সামান্য সমালোচনা করে বিপদে পড়ে সে আক্ষেপ করে স্ট্যাটাস দিলে আমি তাকে বলেছিলাম- এটা হঠাৎ সাইড চেঞ্জ করার ফল। তসলিমা যে মুসলিম বিদ্বেষী একজন ভণ্ড নাস্তিক স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম তর্কে-তর্কে।
এই বিকৃত মস্তিষ্কের মহিলা আমাকে সাঈদীর অনুসারী, আইসিস সদস্য, বুড়া বলে গালি দিয়ে তৃপ্তি পেয়েছিল এবং তার কলকাতার হিন্দুত্ববাদী অনুসারীদের দিয়ে গালাগালির হাট বসিয়েছিল।
সর্বশেষ মঈন আলী ইস্যুতে তসলিমা বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। তসলিমাকে নিয়ে টুইট করেছিল ইংল্যান্ড থেকে সাকিব মাহমুদ নামের আরেকজন ক্রিকেটার। বাংলাদেশের সাকিব এই ইস্যুর ধারে কাছে না থাকলেও তার সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাকিবকে গুলিয়ে ফেলে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে লিখেছে সে। সারাবিশ্বে মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তসলিমাকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এতোদিন চিনতো না। এবার তাদের কাছেও সে ‘ছাগী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো।
লকডাউন এরমধ্যে তার আসলে মাথা পুরাই গেছে। She needs good sex.
[ছবিগুলো, বন্ধু ফরহাদ টিটোর ওয়াল থেকে নেওয়া। তার কারণে সাকিব আল হাসান সম্পর্কীত তসলিমার স্ট্যাটাসটা দেখলাম।]