শিমুল মাহমুদ: [২] বিগত সময়ে দেশের পিকনিক স্পট থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ালেও সেটি এখন কমে এসেছে। বর্তমানে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।
[৩] প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে যারা সংক্রমিত হয়েছে তাদের মাঝে ৬১ শতাংশ বাজার গিয়েছেন। গণপরিবহনও ব্যবহার করেছেন ৬১ শতাংশ মানুষ। উপাসনালয়ে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছে ৩৫ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও দেশের ৩২ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তির জনসমাগমে অংশগ্রহণের ইতিহাস আছে বলে জানা গেছে।
[৪] আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে জীবিকার তাগিদেই। এখানে কিন্তু কোনোভাবেই কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। কিন্তু সবাইকে মাস্ক পরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এটি করতে পারলে সংক্রমণ কমে আসবে।
[৫] কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মাস্ক ছাড়া একজন ব্যক্তিও বাইরে থাকবে না- এটা নিশ্চিত করতে হবে। বাজার এলাকায় কোনো দোকানদারও মাস্ক পরা ছাড়া কিছু বিক্রি করতে পারবে না। আবার যারা বাজারে ক্রেতা হিসেবে যাবেন তারাও মাস্ক পরা ছাড়া কিছু কিনতে পারবে না।