শরীফ শাওন: [২] সরকার নতুন করে কঠিন লকডাউন চালু ও পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিকদের জীবন বাঁচানো জরুরি বলছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু।
[৩] শনিবার যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, মালিকপক্ষ যাতে শ্রমিকদের এক পয়সা বেতনও না কাটে বরং লকডাউনের বিপদকালে শতভাগ মজুরি নিশ্চিত করে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
[৪] শ্রমিক নেতারা জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও পোশাক শ্রমিকরা শতভাগ জনবল নিয়ে কারখানা চালু রেখেছে। এসকল শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষরাই দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এবং বিকশিত করতে ভূমিকা রাখে। অথচ সরকার এবং মালিকপক্ষ তাদের জীবনের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে অবহেলা করে।
[৫] শ্রমিকরা বিগত বছরের দুঃসহ স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা ফেরত চায় না, জানিয়ে বলেন, লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা কাজে না গিয়েও বেতনসহ সুযোগ সুবিধা পাবেন, কিন্তু শ্রমিকদের ক্ষেত্রে উল্টো অবস্থা, এমনটা এবার শ্রমিকরা মেনে নেবে না।
[৬] সরকারকে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গত বছর লকডাউনে বেতন কাটা, ছাঁটাই এবং লেঅফে শ্রমিকদের জীবন বিপর্যস্থ হয়েছে। কাজ হারিয়েছে সাড়ে ৩ লাখের বেশি শ্রমিক।